পশ্চিম মেদিনীপুর: সকাল থেকে সন্ধ্যা, দুইদিন একাধিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেদিনীপুর শহরের জন্মোৎসব পালন করা হল শহর মেদিনীপুরে। অবিভক্ত মেদিনীপুরের জেলা সদর হিসেবে মেদিনীপুর শহরের আত্মপ্রকাশ ঘটে ২২শে সেপ্টেম্বর। এই দিনটি মহাসমারোহে পালন করল শহর মেদিনীপুর জন্মোৎসব কমিটি। একাধিক লোক আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে সাড়ম্বরে পালন করা হয়। দুই দিনব্যাপী একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে শহর মেদিনীপুরের আত্মপ্রকাশ উদযাপন উপলক্ষ্যে।
১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে ২২শে সেপ্টেম্বর। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সদর শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয় শহর মেদিনীপুরকে। ঐতিহাসিক সেই দিনটি স্মরণ রেখে শহর মেদিনীপুর জন্মোৎসব কমিটির উদ্যোগে জন্মোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে রাত এবং সোমবার একাধিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে উদযাপন করে এই কমিটি।
আরও পড়ুন: প্রকৃতির উপাদানে সাজছে মন্ডপ! হারিয়ে যাওয়া ডাকঘরের নস্টালজিয়া ফেরাবে ফুলঝোড়
প্রথম দিন সকালে সুসজ্জিত শোভাযাত্রা বের হয় মেদিনীপুর শহরে। পালকি সহযোগে এই সুসজ্জিত শোভাযাত্রা প্রাচীন বাংলার নানা উপকরণ, নানা সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলে মেদিনীপুরের মানুষজনের কাছে। গ্রাম বাংলার নানা লোকায়ত কথা মানুষের কাছে প্রচার করেন তারা। শুধু তাই নয় শ্রদ্ধা জানানো হয় মেদিনীপুরের বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের।
শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের পৌর প্রধান সৌমেন খান, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সুশান্ত চক্রবর্তী, মেদিনীপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সত্যরঞ্জন ঘোষ, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, উৎসব কমিটির সভাপতি গৌতম ঘোষ সহ অন্যরা। উৎসব কমিটির পক্ষে তাপস মাইতি জানান, দুইদিন ব্যাপী চলা শহর মেদিনীপুরের জন্মোৎসবের আয়োজনে প্রাচীন বাংলার পাঁচালী, রামায়ণ গান, কীর্তন, কবি গান, পুতুল নাচ সহ প্রভৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও মেদিনীপুর শহরের একাধিক গুণী ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সারা রাজ্যের কাছে মেদিনীপুর জেলা পরিচিত। এই জেলায় রুচি ও সংস্কৃতি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। স্বাভাবিকভাবে শহর মেদিনীপুরের আত্মপ্রকাশের দিনটিকে সাড়ম্বরে পালন করা হল।
রঞ্জন চন্দ