বন্যার জলে ভাসছে ঘাটাল

Paschim Medinipur News: রাস্তার উপর দিয়ে চলছে নৌকা, পুজোর আগেও জলমগ্ন ঘাটাল !

পশ্চিম মেদিনীপুর: ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে পরিস্থিতি। দুর্যোগ কাটলেও দুর্ভোগ কাটছে না ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। এখনও জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, বিভিন্ন ওয়ার্ডের মধ্যে এখনও জমে জল। আবহার উন্নতি হয়েছে বেশ কয়েকদিন হল, বৃষ্টি হয়নি, তবে জমা জলে দুর্ভোগ কাটছে না।

রাস্তার উপর দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাতায়াতের প্রধান বাহন নৌকো। বেশ কিছু জায়গা থেকে জল সরলেও ঘরের মধ্যে ঢোকা দায় হয়ে উঠছে। বন্যার কারণে বেড়েছে সাপের উপদ্রব।

আরও পড়ুন: ইউরিক অ্যাসিডের যম, এই পাতা খেলেই গায়েব হাঁটু ব্যথা, জেনে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

জল নামার পর চেনা ছন্দে ফেরার চেষ্টা মানুষজনের। তবে এখনও বেশ কয়েকদিন জলমগ্ন থাকার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন: সাবধান! এইভাবে মুখ ধুচ্ছেন না তো? ত্বক একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, দেখে নিন মুখ ধোয়ার সঠিক উপায়…

ডিভিসির ছাড়া জলে এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যা ক্রমশই ভয়াবহ আকার ধারণ করে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া প্রায় এক সপ্তাহ কাটলেও এখনও জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের পাশাপাশি ডেবরার বিভিন্ন জায়গা এখনও জলমগ্ন। মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ডিঙ্গি বা নৌকো। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বাড়ির একতলা জলের ভর্তি।

দোতলায় রান্নাবান্না এবং সংসার চলছে বন্যার্ত মানুষদের। বিভিন্ন জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। স্বাভাবিকভাবে বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে।

ফের রবিবার ঘাটালের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন ঘাটালের সাংসদ দেব। শুধু তাই নয়, জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে প্লাবিত এলাকা সরজমিনে তদন্ত করে দেখেন মুখ্য সচিব।

এছাড়াও ডেবরার বন্যা প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবির, মন্ত্রী জাভেদ খান সহ অন্যরা। প্রতিদিনই ধীর গতিতে নামছে জল। একের পর এক দিন এগিয়ে আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের। তবে পুজোর ভাবনা তো দূর, জীবন বাঁচাতে এখনও প্রতিদিন হয়রানি শিকার হচ্ছেন হাজারও হাজারও মানুষ।

আবহাওয়ার উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কাটেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে ত্রান শিবির। পুলিশ, প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ একযোগে কাজ করছে মানুষদের জন্য। তবে কবে বন্যা থেকে সুরাহা মেলে প্রশ্ন সকলের।

রঞ্জন চন্দ