Tag Archives: Ghatal Flood

Sukanta Majumdar visit Flood Devastated Area: বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে সুকান্ত মজুমদার, বাংলার বন্যা পরিস্থিতির জন্য কাঠগোড়ায় তুললেন রাজ্য সরকারকে

কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় পরিদর্শনে যাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার।‌

ডিভিসির ছাড়া জলে বানভাসি গ্রামের পর গ্রাম। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া বীরভূম সহ বিস্তীর্ণ জেলায় বহু মানুষ কার্যত ঘরবন্দী।

আরও পড়ুন: রাস্তায় চলছে নৌকা, আরও সংকটজনক ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি, জলের তলায় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই সুকান্ত মজুমদার তাঁর নিউটাউনের বাড়ি থেকে রওনা হয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে। জানা যাচ্ছে প্রথমেই তিনি যাবেন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। সেখানকার একাধিক গ্রামে গিয়ে কী অবস্থায় রয়েছেন স্থানীয় মানুষজন তা খতিয়ে দেখবেন। পাঁশকুড়ার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল এবং দাসপুরেও এইদিন যাবেন সুকান্ত মজুমদার।

আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের সব দাবি মানল রাজ্য, অবশেষে উঠবে কর্মবিরতি? নবান্নে বৈঠক শেষে ফের শর্ত!

প্রসঙ্গত গতকাল, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরেজমিনে হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন। বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকেই দায়ী করেন তিনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দেন প্রয়োজনীয় নির্দেশও।

আজ বৃহস্পতিবার, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া একাধিক এলাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আর এইদিনই পাঁশকুড়া, ঘাটাল-সহ একাধিক জেলার বানভাসী বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করবেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বন্যা পরিস্থিতির জন্য সরাসরি রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন৷

বিজেপির রাজ্য সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করে বলেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি-সহ সরকারি স্তরে কোনও রকম সঠি

West Bengal Flood Situation: রাস্তায় চলছে নৌকা, আরও সংকটজনক ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি, জলের তলায় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল

টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জেলায়৷ আবহাওয়ার উন্নতি হলেও ডিভিসি-সহ একাধিক জলধার থেকে জল ছাড়ার ফলে বানভাসি হয়েছে একের পর এক জেলা৷ বিশেষ করে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি বেশ সংকটজনক৷
টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জেলায়৷ আবহাওয়ার উন্নতি হলেও ডিভিসি-সহ একাধিক জলধার থেকে জল ছাড়ার ফলে বানভাসি হয়েছে একের পর এক জেলা৷ বিশেষ করে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি বেশ সংকটজনক৷
আবহাওয়ার উন্নতি হলেও জল বাড়ছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে দুর্ভোগ অব্যাহত ঘাটাল জুড়ে৷ এমনকি বাজার করার জন্যও নৌকা নিয়ে আসতে হচ্ছে মানুষকে। বাজার এলাকার  রাস্তা যেন আস্ত নদী হয়ে গিয়েছে৷
আবহাওয়ার উন্নতি হলেও জল বাড়ছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে দুর্ভোগ অব্যাহত ঘাটাল জুড়ে৷ এমনকি বাজার করার জন্যও নৌকা নিয়ে আসতে হচ্ছে মানুষকে। বাজার এলাকার রাস্তা যেন আস্ত নদী হয়ে গিয়েছে৷
জল ঢুকেছে চন্দ্রকোণা, দাসপুর-সহ বিভিন্ন ব্লক এলাকায়। জলের প্রবল স্রোত চলছে রাস্তার উপর দিয়ে। নদী ও রাস্তার মধ্যে পার্থক্য করা মুশকিল হয়ে উঠেছে৷ এই অবস্থায় পানীয় জলের সমস্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, ভেঙে পড়েছে এখানকার একাধিক মাটির ঘর। যার জেরে দুর্ভোগে এলাকার সাধারণ মানুষ৷
জল ঢুকেছে চন্দ্রকোণা, দাসপুর-সহ বিভিন্ন ব্লক এলাকায়। জলের প্রবল স্রোত চলছে রাস্তার উপর দিয়ে। নদী ও রাস্তার মধ্যে পার্থক্য করা মুশকিল হয়ে উঠেছে৷ এই অবস্থায় পানীয় জলের সমস্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, ভেঙে পড়েছে এখানকার একাধিক মাটির ঘর। যার জেরে দুর্ভোগে এলাকার সাধারণ মানুষ৷
কেবল ঘাটাল নয়, হুগলি জেলার অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়৷ এখানে নতুন করে বিচ্ছিন্ন হয়েছে খানাকুলের বেশ কয়েকটি গ্রাম। সাইবুনা, চকবেদুয়া, কটাপুকুর, পাতুল, রাধাবল্লভপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায়। ফলে বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ জলের তলায় আরামবাগ গাড়েরঘাট রোড।
কেবল ঘাটাল নয়, হুগলি জেলার অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়৷ এখানে নতুন করে বিচ্ছিন্ন হয়েছে খানাকুলের বেশ কয়েকটি গ্রাম। সাইবুনা, চকবেদুয়া, কটাপুকুর, পাতুল, রাধাবল্লভপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায়। ফলে বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ জলের তলায় আরামবাগ গাড়েরঘাট রোড।
প্রসঙ্গত, ডিভিসির জল ছাড়ার দরুণ এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলা থেকে ১২ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে ৩ হাজার, বীরভূম জেলার ২ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে ৩ হাজার, হাওড়া জেলা থেকে ৪ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। একাধিক নদীর বাঁধ ভেঙেছে। সেচ দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে অবিলম্বে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়। বুধবার আরও ৩ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল মাইথন এবং পাঞ্চে জলাধার থেকে। ক্রমশ বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা। সরকার ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডিভিসির জল ছাড়ার দরুণ এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলা থেকে ১২ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে ৩ হাজার, বীরভূম জেলার ২ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে ৩ হাজার, হাওড়া জেলা থেকে ৪ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। একাধিক নদীর বাঁধ ভেঙেছে। সেচ দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে অবিলম্বে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়। বুধবার আরও ৩ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল মাইথন এবং পাঞ্চে জলাধার থেকে। ক্রমশ বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা। সরকার ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

West Midnapore Flood: বন্যা কবলিত এলাকা থেকে অন্তঃসত্ত্বাদের সরানোর তোড়জোড়! ৪৫ জনকে পাঠানো হল ‘মাদারস হাব’-এ

খড়গপুর: আবহাওয়ার উন্নতি হলেও ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়। উপরের জেলাগুলির একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বানভাসি এলাকা। জল ঢুকেছে চন্দ্রকোণা, দাসপুর-সহ বিভিন্ন ব্লক এলাকায়। জলের প্রবল স্রোত চলছে রাস্তার উপর দিয়ে।

বন্যা কবলিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক স্থান থেকে অন্তঃসত্ত্বাদের দ্রুত সরানোর কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রসব হবে বলে জানা গিয়েছে, তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক জানিয়েছেন, জেলার নয় ব্লক থেকে ইতিমধ্যেই ৪৫ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ‘মাদারস হাব’ বা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছে প্রশাসন।

আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই ঝলমলে ত্বক! রোজ সকালে খালি পেটে ভিটামিনে ঠাসা দুটি পাতা, ২ টাকায় দাগছোপ ৩ দিনে গায়েব

খড়গপুর-১ ব্লক থেকে ৫ জনকে, কেশপুর ব্লক থেকে ২ জনকে, দাঁতন-২ ব্লক থেকে ২ জনকে, ডেবরা ব্লক থেকে ২ জনকে, চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লক থেকে ৮ জনকে, চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লক থেকে ৩ জনকে, ঘাটাল ব্লক থেকে ৯ জনকে, দাসপুর ১ ব্লক থেকে ৮ জনকে, দাসপুর ২ ব্লক থেকে ৬ জনকে- সব মিলিয়ে ৪৫ জন অন্তঃসত্ত্বাকে সরানো হয়েছে মাদারস হাবে।

আরও পড়়ুন: ডাক্তার বলেও আর চিনবেন না কেউ, সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে বৃহস্পতিবারই বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা

আরও পড়ুনঃ   ‘জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির সঙ্গে সহমত, কিন্তু এবার কাজে ফিরুন’, #JusticeforRGKar ব্যবহার করে নিরাপত্তা-আশ্বাস অভিষেকের

অন্যদিকে যে সব ডায়ালিসিস রোগী রয়েছেন, তাঁদেরও দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঘাটাল, ডেবরার মতো জায়গায় যাঁরা আটকে আছেন, জেলা প্রশাসন দ্রুত তাঁদের স্থানান্তর করছেন। তাঁদের চিকিৎসা নিয়ে যাতে অসুবিধা তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে।

Ghatal Flood: মৃত্যুর পরও মর্মান্তিক পরিণতি! সৎকারের জন্য শেষমেশ যা করতে হল, শুনলে আঁতকে উঠবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা ঘণ্টা। খুঁজে পাওয়া যায়নি, সৎকারের জায়গা। বাধ্য হয়ে রাস্তার উপরে দিয়ে যাওয়া জলের প্রবল স্রোতে নৌকায় মৃতদেহ রেখে অন্যত্র গিয়ে সৎকার সম্পন্ন করতে হল পরিবারের লোকজনদের। ঘাটাল জুড়ে এখন এই চিত্র। এ যেন মরেও শান্তি নেই।

টানা ক’দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিবারের সদস্যের মৃত্যুর পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা খুঁজেও পাওয়া গেল না সৎকারেরজন্য শুকনো জমি। বাধ্য হয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা জল পেরিয়ে অন্যত্র দাহ করানোর জন্য ব্যবস্থা করতে হল পরিবারের লোকজনদের। সমস্যায় পড়তে হয়েছে পরিবারের লোকজনদের।

আরও পড়ুন-       বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি…!

জানা গিয়েছে, ঘাটালের গড় প্রতাপনগর এর ৫৫ বছর বয়সী প্রতিমা চৌধুরীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার রাত্রে তার মৃত্যু হয়। তবে এই বন্যা অবস্থায় সৎকার্যের জন্য পাওয়া যায়নি শুকনো জমি। মৃতার আত্মীয় রাজকুমার চৌধুরী জানান, কোথাও শুকনো জমি না থাকায় মৃতদেহকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে দাহ করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নৌকোয় চাপিয়ে জলে ভাসিয়ে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে দাহকার্য সম্পন্ন করা হয়। তাও বেশ কয়েক ঘণ্টাপরে।

আরও পড়ুন-   ১০০ বছরে এই প্রথমবার! দুর্গোপুজোয় বন্ধ থাকবে রঞ্জিত-কোয়েলদের বাড়ির দরজা, কারণটা কী? জানলে চমকে যাবেন!

বর্ষা কাটলেও জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা কবলিত ঘাটালে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য শুকনো জায়গাটুকুও নেই। স্বাভাবিকভাবে মৃত মহিলাকে নৌকায় চাপিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ঘাটাল সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শববাহী গাড়িতে করে শুকনো জায়গায় নিয়ে গিয়ে শ্মশান চুল্লিতে দাহ করা সম্পন্ন হয়। তবে এই বন্যায় ঘাটালে এতটাই জটিল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে তা এই ছবিতে স্পষ্ট।

রঞ্জন চন্দ

Ghatal News: প্লাবিত ঘাটালে হাজির মুখ্যমন্ত্রী, ঘুরে দেখলেন এলাকা, সাহায্যের আশ্বাস

ঘাটাল: ডিভিসির মাইথন আর পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়তেই ফের বানভাসি হয়ে পড়ল ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। গতকাল, ডিভিসির থেকে মাইথন থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। এই বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে গোটা এলাকাই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বৃষ্টি কমলেও জলস্তর কমেনি এলাকা থেকে। এর মাঝেই আজ অর্থাৎ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্লাবিত এলাকা দেখতে সেখানে হাজির হন। গতকাল সেখানে সাহায্যের জন্য পৌঁছেছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেবও।
ইতিমধ্যেই ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলি ঘুরে দেখেন তিনি। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে কিনা খতিয়ে দেখেন তাও। এছাড়াও গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেন সবরকম প্রয়োজনের জন্য রাজ্য প্রশাসন প্রস্তুত।

Mamata Banerjee: ঘাটালে হাঁটুজলে মুখ্যমন্ত্রী, বন্যা পরিস্থিতি দেখে কী বললেন? দেখুন

ঘাটালে হাঁটুজলে মুখ্যমন্ত্রী। জলবন্দি ঘাটাল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটালে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। ঘাটালের পরিস্থিতি পরিদর্শনে মমতা। পুরশুড়া, খানাকুলের পর ঘাটালে যান মমতা। দেখুন

Flood: প্লাবিত বাজার! দোকানিরা বসেছে ব্রিজের উপর, ঝুঁকি নিয়ে চলছে বেচাকেনা

পশ্চিম মেদিনীপুর: ক্রমশ জল বাড়ছে একাধিক নদীতে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কার্যত পুজো বন্ধ ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়। নিজেদের জীবন বাঁচাতে এখন মরিয়া প্রত্যেকে। কোথাও বাড়িতে ঢুকছে জল, কোথাও বাজারে কোমর সমান জলে থৈথৈ অবস্থা।

তাই পুজো তো দূর, নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করা এখন দায় হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাজার বসেছে ব্রিজের উপর। স্বাভাবিকভাবে দুর্গাপুজোর মুখে ভয়াল সমস্যায় সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: বুধ, সূর্য, শুক্র…স্থান বদল ৩ বড় গ্রহের! ৩ রাশির ভাগ‍্যের চাকা ঘুরে যাবে, হাতের মুঠোয় সাফল‍্য, টাকাপয়সা উপচে পড়বে

নিম্নচাপের জেরে তিন দিনের টানা বৃষ্টি। অন্যদিকে বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ঘাটালে। ঝুমী, শিলাবতি-সহ একাধিক নদী বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। একাধিক গ্রামে হু হু করে ঢুকেছে জল। স্বাভাবিকভাবে প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই এলাকা পরিদর্শন করেছেন ঘাটালের সাংসদ দেব। তৎপর রয়েছে প্রশাসন।

গতকাল, মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্বকর্মা পুজো। তবে ঘাটালবাসী এই পুজোর কথা মনেই রাখেনি। বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি নিজের জীবন বাঁচাতে সবাই তৎপর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আলু পেয়াজ কাঁচা সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে ব্যস্ততম ব্রিজের উপর।

ঘাটাল বাজার বন্যায় প্লাবিত হওয়ার কারণে বিশ্বকর্মা পুজোর সকালে দৈনন্দিন বাজার বসেছে ঘাটাল ব্রিজের উপর। স্বাভাবিকভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে বেচাকেনা।

আরও পড়ুন:নারকেল তেলেও বিপদ? না জেনে হচ্ছে বড় ক্ষতি! চুল নাকি ত্বক, কার বারোটা বাজবে ব‍্যবহারে?

ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৈঠক করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন। শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষ জনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনা হচ্ছে। নৌকা পরিষেবা কিংবা অন্যান্য পরিষেবা সচল রাখা হয়েছে মহকুমা জুড়ে।

ইতিমধ্যে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখেছে মহাকুমা শাসক ও প্রশাসন। ইতিমধ্যে ঘাটালে এসেছে এনডিআরএফ টিম। তবে পুজোর মরশুমে ভয়াবহ বন্যায় কার্যত নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

রঞ্জন চন্দ

Bamboo Poles: ঘাটালে ফের বন্যার শঙ্কা! ভেঙে গেল একের পর এক বাঁশের সাঁকো, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘাটাল এবং বন্যা যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর বর্ষাকালে বানভাসি হয় ঘাটাল। বৃষ্টিতে ঘাটাল মহকুমায় থাকা বিভিন্ন নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় সেই জল ক্রমশ প্রবেশ করছে এলাকায়। এই কারণেঈ প্রতিবছর বর্ষাকালে বন্যা লেগেই থাকে। এবারেও দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে বাড়ছে বিভিন্ন নদীর জল। টানা বৃষ্টিতে ঘাটাল ব্লকের ঝুমি নদীতে জল বেড়েছে। শুধু জল বাড়া নয়, কচুরিপানার চাপে ভেঙে গিয়েছে ঝুমি নদীর উপরে থাকা বিভিন্ন বাঁশ ও কাঠের অস্থায়ী সাঁকো। ফলে বিপদে পড়তে হয়েছে নদীর দু’পাড়ে থাকা এলাকার মানুষজনকে।

নদীর এক পাড়ে বিদ্যালয়, অপর পাড়ে বাজার, থাকার জায়গা। অর্থাৎ ঝুমি নদীর দু’পাড়ে রয়েছে বসবাসের জায়গা। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন এই নদীর উপরে থাকা অস্থায়ী বাঁশ কিংবা কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতেন বহু মানুষ। তবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘাটাল ব্লকের ঝুমি নদীতে জল বেড়েছে। ভেসে আসছে কচুরিপানা। আর কচুরিপানার চাপে সাতটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে ভেসে গিয়েছে। তবে বর্তমানে কয়েকটি জায়গায় চালু হয়েছে নৌকা পরিষেবা। শুক্রবার এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। সশরীরে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস।

আর‌ও পড়ুন: ভাঙল ফেয়ার ওয়েদার ব্রিজ, বিপদ মাথায় নিয়ে যাতায়াত

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝুমি নদীর উপর থাকা অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চাশটিরও বেশি গ্রামের মানুষ। কিন্তু নদীর জল বাড়ায় এবং কচুরিপানার চাপে সাঁকো ভেঙে গিয়ে একপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে সামান্য কিছু নৌকা দিয়ে যাতায়াত শুরু হয়েছে। প্রতিদিন নৌকোয় নদী পারাপার ঝুঁকির হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারংবার বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে মহকুমা প্রশাসন, ব্লক প্রশাসন এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের তরফে সমস্ত কিছুর উপর নজরদারি রাখা হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বিপদ সীমার নিচেই বইছে জল। তবে নৌকা দিয়ে যাতায়াত যাতে ঠিকমত হয়, মহকুমা প্রশাসনের তরফে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নৌকায় যাতায়াতের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা আছে। প্রসঙ্গত বিদ্যালয়ে চলছে পরীক্ষা। দুই পাড়ের যোগাযোগের জন্য দেওয়া হয়েছে খেয়া। খেয়াতেই পারাপার করছেন মানুষজন।

উল্লেখ্য ২০২১ সালে ঝুমি নদীর উপর ভগবতী সেতু তৈরির কাজ শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত তা শেষ হয়নি। দ্রুত সেই কাজ শেষ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মহাকুমাশাসক। তবে বিভিন্ন নদীতে জল বাড়ায় ক্রমেই ভয় বাড়ছে ঘাটালের মানুষজনের। গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজরদারি রেখে চলেছে প্রশাসন।

রঞ্জন চন্দ