অনুব্রত মণ্ডল 

Anubrata Mondal: দীর্ঘ ২ বছর পর পাতে বাড়ির খাবার, প্রিয় পদে পেটপুজো সারলেন ‘কেষ্ট’, মেনুতে কী কী ছিল জানেন?

বীরভূম: তিহার থেকে মুক্তি পেয়ে বীরভূমের বোলপুরে নিচুপট্টির বাড়ি এসে পৌঁছেছেন অনুব্রত মণ্ডল। সকাল ৯ টা নাগাদ তিনি বাড়ি এসে পৌঁছান। দীর্ঘ প্রায় ২৫ মাস পর বীরভূমের মাটিতে পা রেখেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল সংশোধনাগারে। তারপর সেখান থেকে সোজা দিল্লির তিহার জেল। অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে তিহারে রাখা হয়েছিল। তবে অনুব্রত মণ্ডলের আগে জামিন পেয়েছিলেন সুকন্যা মণ্ডল।তারপরেই গত শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করেন দিল্লির রাইস অ্যাভিনিউ কোর্ট। ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হয়। তবে জামিনের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষ জারি করা হয়েছে।

এক পুজোতে বন্দি তো আর এক পুজোতে মুক্তি জীবন চক্রের আবহে এমনভাবেই আবর্তিত হলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।মঙ্গলবার রাত্রি ৯ টা ২১ মিনিটে তিহারের ৩ নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত মণ্ডল।বাইরে বাবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।বাইরে বেরিয়ে এসে ধরেন কন্যা সুকন্যার হাত। রাতেই দিল্লির বিমানবন্দরের প্লেন ধরে ভোরবেলাতেই পা রাখেন কলকাতায়। তারপর সেখান থেকে সোজা নিচু পট্টির নীল রঙের বাড়িতে ফেরেন অনুব্রত মণ্ডল ও তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।

আরও পড়ুন- দিঘায় এবার তুলকালাম কাণ্ড…! কী এমন ঘটল? শুনেই সাগরে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ, জানলে চমকে যাবেন আপনিও!

একদম অন্য মেজাজে বীরভূম ফিরলেন তিনি। তাঁর কর্মী সমর্থকরা পুষ্প বিতরণ করে সবুজ আবির খেলে আনন্দ ভাগ করে নিলেন। জানেন কি বাড়ি ফিরে অনুব্রত মণ্ডল মধ্যাহ্ন ভোজে কী কী খেলেন? আর কোথায় খেলেন? প্রসঙ্গত দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে জেলের ভাত খেয়েছেন অনুব্রত তবে বাড়ি ফিরে খাবার মেনুতে ছিল  তাঁর সবচেয়ে প্রিয় পদ।

আরও পড়ুন-অসহ্য নরকযন্ত্রণা…! একাধিক প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদের গুঞ্জনে ক্ষত-বিক্ষত জীবন, এবার যা করলেন ঐশ্বর্য… শুনলে আঁতকে উঠবেন

অনুব্রত মণ্ডলের ভাই প্রিয়ব্রত মণ্ডল জানান, দুপুরে খাবারের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, মাছের ঝোল আর সঙ্গে পোস্তর বড়া। অনুব্রত মণ্ডলের বরাবরের প্রিয় খাবার পোস্তর বড়া আর মাছের টক। তাই টক রান্না না হলেও মাছের ঝোল রান্না হয়েছিল। সব মিলিয়ে সকালে বাড়ি ফিরে অনুব্রত মন্ডল একবার বাইরে এসে কর্মীদের উদ্দেশে হাত জোড় করেন। আর তারপরেই কার্যত বিশ্রাম-এর মেজাজে অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বাড়ি ফিরে সবার সঙ্গে দেখা  করেননি।

সৌভিক রায়