কলকাতা Sandip Ghosh-CBI: আরজি করে’ই নয়, ঘটনার পর ‘সবকিছু’ পরিবর্তন করা হয় কোথায়? আদালতে বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের! চমকে যাবেন শুনে Gallery September 25, 2024 Bangla Digital Desk আর জি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সিবিআইয়ের। আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে বুধবার আদালতে তোলে সিবিআই। আর সেখানেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, টালা থানাতেই তথ্য বদল করা হয়েছে। পরিবর্তন করা হয়েছে নথি। কিছু নথি তৈরি করা হয়েছে থানাতে। আর সিবিআইয়ের এই অভিযোগের পরই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, ”আমাদের হাতে জাদুর ছড়ি নেই যে সব একসঙ্গে সমাধান করে ফেলা যাবে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, মোবাইল সব বেশ কিছু ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা সবটা খতিয়ে দেখছি। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবের রিপোর্ট আসবে। এই রিপোর্ট এলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ হবে।” যদিও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করেন। তাঁর কথায়, ”আজ সিবিআই জেল হেফাজত চেয়েছে। নতুন করে কোনও অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়নি। চার দিন ধরে যে আমাকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। তার রিমান্ড গুলোর যে কোনও একটা দেখুন। আমি ওসি ছিলাম। যে চার্জ গুলো আনা হয়েছে, সেগুলো কি আমার বিরুদ্ধে আনা যায়! আমি সকাল সাড়ে ন’টায় খবর পেলাম, সাড়ে দশটায় গেলাম। মূল মামলার সঙ্গে আমার বিরুদ্ধে কোনও চার্জ আনা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে।” অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী আরও বলেন, ”কোনও পুলিশকে গ্রেফতার করতে গেলে সরকারের অনুমতি লাগে। যেখানে আমি ওসি, সেখানে নিয়ম ভাঙা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, আমি দেরিতে এফআইআর করেছি। আমি তো তদন্তের মধ্যেই ছিলাম। ডিউটিতে থেকেই এফআইআর প্রসেস করেছি।” তাঁর আরও দাবি, ”আমাকে নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছে। আমি হাজিরা দিয়েছি। পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছিল পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই তো জেল হেফাজত চেয়েছে। দয়া করে সিবিআইয়ের রিমান্ড দেখুন। সিবিআই বলছেন, সিসিটিভি ফুটেজ ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। একই কথা বলছেন গত তিনটে শুনানিতেই। প্লেস অফ অকারেন্স বা পিও টালা থানা নয়। আমাকে কী ভাবে খুনের মামলায় যুক্ত করা হবে? আমি ওসি, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। আমি পাবলিক সার্ভেন্ট, পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপার নেই।” অপরদিকে, সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী বলেন, ”আমি অধ্যক্ষ ছিলাম। সকাল ১০.০৩-এ জানতে পারি ঘটনার কথা। ওসি টালাকে ফোন করি। এমএসভিপি-কে বলি লিখিত অভিযোগ করতে। আমি যদি তথ্য প্রমাণ লোপাট করি, তাহলে ওখানে তো সিনিয়র পুলিশ অফিসারেরা ছিলেন। লিখিত অভিযোগ কলেজের তরফে করতে হবে। সেই জায়গা থেকে এমএসভিপি করেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনছে। কী ধরনের ষড়যন্ত্র, সিবিআই স্পষ্ট করেনি।” সিবিআইয়ের তরফে অবশ্য সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল, দুজনেরই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়।