চলছে কাজ

Anubrata Mondal: লম্বা ঘুম, জমিয়ে খাওয়ার পর অবশেষে বাড়ি থেকে বেরোলেন অনুব্রত! গেলেন কোথায়?

বোলপুর: অনুব্রত মণ্ডল জেলায় ফিরতেই আবার কেষ্টময় বীরভূম।এক পুজোর আগে জেলবন্দি, বছর পেরিয়ে আর এক পুজোয় মুক্তি পেলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।আর তাতেই কার্যত খুশির হওয়া বীরভূমের তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মধ্যে।

মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে সারাদিনই প্রায় বিশ্রাম নিয়েছিলেন৷ আজ, বুধবারও বেলা পর্যন্ত তিনি ঘুমোন বলেই সূত্রের খবর৷ এর পর দুপুরে জমিয়ে শুক্তো, ডাল, কাতলা মাছের পেটি দিয়ে খাওয়া দাওয়া সারেন৷ বিকেলে শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে বেরিয়ে বোলপুর শহরে তৃণমূলের দলীয় দফতরে গেলেন অনুব্রত৷

অনুব্রত আসার আগে থেকেই অবশ্য তৃণমূলের দলীয় দফতর সাজিয়ে তৈরি রাখা হয়৷ অনুব্রতর ছবিতে মুড়ে ফেলা হয় দলীয় দফতর৷ বিকেলের পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে চড়েই সেখানে পৌঁছন অনুব্রত মণ্ডল৷ সমর্থকদের স্লোগানের মধ্যেই দলীয় কার্যালয়ে ঢোকেন তিনি৷

মঙ্গলবার বীরভূম জেলার তৃণমূলের অনেক নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে অধিকাংশকেই ফিরিয়ে দেন অনুব্রত৷ আজ অবশ্য দলীয় কার্যালয়ে এসে দলের নেতাদের থেকে সংগঠনের খোঁজখবর নেন তৃণমূল নেতা৷

আরও পড়ুন: ‘কুইন্টাল, কুইন্টাল জল ছেড়েছে ডিভিসি’! কিউসেকের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে ফের বেফাঁস রচনা

আজ অনুব্রত বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে যেতে পারেন, সেই খবর পেয়েই সাজো সাজো রব শুরু হয়ে যায় কার্যালয়ে।অনুব্রত মণ্ডলের একের পর এক ছবি দিয়ে সাজানো হয় দলের কার্যালয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সরিয়ে ফেলা হয় জেলা কোর কমিটির সদস্যদের ছবি। অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতে যে কমিটি তৈরি করেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল সূত্রে খবর ২০১৮ সালে বীরভূম জেলা তৃণমূল ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন খোদ অনুব্রতই।প্রায় প্রতি দিন নিয়ম করে এখানে বসতেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।আর সেই পার্টি অফিস থেকেই তিনি সমস্ত নির্বাচনের সময় কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন নির্দেশ দিতেন।

অনুব্রতের জেলযাত্রার কিছু সময় পরেই তাঁর ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল কার্যালয় থেকে। এরপরই মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা দেখাশোনা করার জন্য কোর কমিটি গঠন করে দেন।সেই কোর কমিটির সদস্যরা বীরভূম জেলায় শাসক দলের সংগঠনের কাজ দেখাশোনা করতেন।

সৌভিক রায়