চিত্তরঞ্জন শহর।

West Bardhaman News : উৎসবের মুখে ঘরে নেমে এসেছিল কালো আঁধার! খানিকটা সময় পেয়ে ফিরল স্বস্তি

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : কুলটির আমলাদহি বাজার এমনও অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা ৩০-৩৫ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছেন। কিন্তু জায়গাটি চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার অধীনস্থ। তাই অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তাতেই উৎসবের মুখে কালো আঁধার নেমে এসেছে ব্যবসায়ীদের বাড়িতে। উপার্জন হারিয়ে পথে বসার আশঙ্কায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা।

নোটিশ অনুযায়ী উচ্ছেদ করতেও এসেছিলেন রেলের আধিকারিকরা। তটস্থ হয়ে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অজয় পোদ্দারের। তার অনুরোধে আপাতত বন্ধ হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান। উৎসবের মুখে উচ্ছেদ হলে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন, সেই বিষয়টাই তুলে ধরেন বিধায়ক। তার অনুরোধে আপাতত সময় পাওয়া গিয়েছে ছট পুজো পর্যন্ত। অর্থাৎ উৎসবের মরশুমে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন তারা। কিন্তু তারপর?

আরও পড়ুন : মেয়াদউত্তীর্ণ জিনিস বিক্রি হচ্ছে দোকানে, হাতেনাতে ধরলেন আধিকারিকরা! তারপর যা হল…

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আপাতত সময় পাওয়া গিয়েছে। তাতে পুজোর মুখে তাদের উপার্জন বন্ধ হবে না। কিন্তু এই জায়গায় তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন। রেল কর্তৃপক্ষ যদি এখানে উচ্ছেদ অভিযান করে, তাহলে আগামী দিনে তারা কোথায় যাবেন। ছট পুজো পেরিয়ে গেলে তারা ব্যবসা করবেন কিভাবে? কিভাবে তারা উপার্জন করবেন? তাই সাময়িক স্বস্তি পেলেও চিন্তা দূর হচ্ছে না তাদের।

আরও পড়ুন : পুজোর আগেই মন খারাপ ঢাকি বাদকদের, দেখুন

প্রসঙ্গত, রেল শহর চিত্তরঞ্জনের এই বাজার এলাকার ওপর স্থানীয় বহু মানুষ নির্ভরশীল। আবার অনেকেই এখানে ব্যবসা করে তাদের উপার্জনের রাস্তা বেছে নিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে রেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের দখল হয়ে থাকা জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। পুরসভার তরফ থেকেও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। তার মধ্যেই চিত্তরঞ্জনে রেল কর্তৃপক্ষের এই উচ্ছেদ অভিযানের নোটিশে ঘুম উড়েছে বহু মানুষের।

নয়ন ঘোষ