বোলপুর: নানা জল্পনা, নানা চর্চা। অবশেষে অনুব্রত মণ্ডল-সাক্ষাতে কাজল শেখ। বোলপুরে তৃণমূলের জেলা অফিসে অনুব্রত-কাজল বৈঠক হয় শনিবার।অনুব্রত বাড়ি ফেরার ৫ দিনের মাথায় সাক্ষাৎ বীরভূমের জেলা সভাধিপতির। অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে কাজল শেখকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হয়। বীরভূমে তৃণমূলের কোর কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সে। কাজলের সঙ্গে এবার একান্ত বৈঠক চান অনুব্রত।
রবিবার বিকেলে কলকাতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে অনুব্রতর। চিকিৎসক দেখিয়ে সোমবার ফিরে যাওয়ার কথা। ফিরেই কাজলের সঙ্গে আলাদা করে বসতে চান অনুব্রত। শনিবার কাজলের ফোন নম্বর তাঁর কাছে আছে কিনা সেটা বারবার নিজের ফোনে চেক করেন অনুব্রত। এরপর নম্বর খুঁজে বের করে বলেন, ‘তোর নম্বর আমার কাছে সেভ আছে দেখ।’
নানুর ও সন্নিহিত এলাকার খোঁজ নেন অনুব্রত। তবে সেখানে আরও বেশ কয়েকজন নানুরের নেতা হাজির থাকায়, আর কথা এগোননি উভয়েই। কলকাতা থেকে ফিরেই তাই কাজলের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন অনুব্রত। গত বুধবার পার্টি অফিসে বক্তব্য় রাখতে গিয়ে রীতিমতো হুঙ্কার দিতে শোনা যায় কাজল শেখকে। তিনি বলেন, ‘আমি পঞ্চায়েতের পার্সেন্টেজ খেতে আসিনি। আমি নদীর বালি তুলে খেতে আসিনি। লোকের জায়গা জোর করে দখল করতে আসিনি আমি। যদি বাঁকা পথে চলো, সোজা পথে আনার রাস্তা আমাদের জানা আছে। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে সব খবর সময়মতো পৌঁছে যাচ্ছে। পাঙ্গা নিতে এসো না, আমি চুড়ি পরে বসে নেই। অনেক ঘাটের জল পেটে আছে। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি সব খেলা খেলতে জানি। দাবা খেলাও খেলতে জানি, হাডুডুও খেলতে জানি। খেলা হবে গান শুনিয়ে লাভ হবে না বন্ধু।”
প্রসঙ্গত বীরভূমের রাজনীতিতে কাজল শেখ বরবার অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী বলে পরিচিত। নানুর কেন্দ্রিক একাধিক রাজনৈতিক আবহে বারবার দু’জনের অবস্থার বদল হয়েছে। বর্তমানে কাজল শেখও জেলা রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে। ফলে কাজল-অনুব্রতর আলাদা বৈঠক নয়া মাত্রা যোগ করতে পারে।