তৈরি হচ্ছে সবচেয়ে ভারী দূর্গা

Durga Puja 2024: সবচেয়ে ভারী দুর্গা! অষ্টধাতুর তৈরি এই বিপুল প্রতিমা দেখতে কোথায় যাবেন? জানুন

উত্তর ২৪ পরগনা: হাবরার প্রতিমা শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দারের হাতেই তৈরি হচ্ছে সবচেয়ে ভারী দুর্গা! যে প্রতিমা তুলতে পারবে না একত্রে কোন মানুষও।  কারণ, প্রতিমার ওজন প্রায় দেড় টনেরও অধিক। কেজিতে হিসাব করলে যা দাঁড়ায় প্রায় দেড় হাজার কেজি ওজনের প্রতিমা। এবার এই ঠাকুর তৈরি করেই চমক দিচ্ছেন প্রতিমা শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার।

আরও পড়ুন- ৫০০ টাকার নোটে গান্ধীজি নয়, এ কার ছবি! দেড় কোটি জাল নোট বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ! 

শুধু এই ঠাকুর তৈরি করাই নয়, এত ভারী প্রতিমা মন্ডপে পৌঁছানোও বড় চ্যালেঞ্জ শিল্পীর কাছে। কারণ ক্রেনের সাহায্যে বড় ট্রাকে তুলে তবেই বিশেষ নিরাপত্তা সহযোগে নিয়ে যেতে হবে এই প্রতিমাকে। ব্যারাকপুর এভারগ্রিন ক্লাবের ৩৭ তম বর্ষের এবারের ভাবনায় ফুটে উঠছে ‘স্পন্দন’। নগরজীবনে যেভাবে প্রকৃতিকে নষ্ট করে গড়ে উঠছে আকাশ ছোঁয়া আবাসন থেকে শুরু করে কল কারখানা, হচ্ছে জল অপচয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সুকান্ত সরণী ও পূর্ব তালবাগান অধিবাসী বৃন্দর তরফে মন্ডপ ও প্রতিমা শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার-এর ভাবনায় এবার ফুটে উঠছে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে এক বিশেষ সামাজিক বার্তা।

আরও পড়ুন- ‘দলনেত্রী ও অভিষেককে সম্মান করি’, সিনেমা মুক্তি স্থগিত! কারণ জানিয়ে দিলেন প্রান্তিক-রাজন্যা

তাই ইকো ফ্রেন্ডলি জিনিস দিয়ে অষ্টধাতুর দুর্গা প্রতিমা সহ কৃত্রিম গাছ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এই অভিনব মণ্ডপ। কোভিডের মতো মহামারীর পরও মানুষ এখনও সচেতন নয়। তাই প্রকৃতিকে বাঁচাতে ভুল শুধরে গাছ লাগানো, জলের অপচয় বন্ধ করতে এভাবেই সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দেবীর গঠন। অষ্টধাতুর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের গাড়ি, সাইকেল, কল কারখানার যন্ত্রাংশ। দুর্গার মুখ হয়েছে তামার, লক্ষীর মুখ পিতলের, সরস্বতীর মুখ দস্তার, গণেশের মুখ রুপোর।

দেবীর অলংকারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে অল্প পরিমাণ হলেও সোনা বলে জানালেন শিল্পী। কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন শিল্পীদের অক্লান্ত সহযোগিতায় হাবরার বানিপুরে তৈরি হচ্ছে এই ‘হেভি ওয়েট দুর্গা’। অতীতে শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার এর হাতে ফুটে উঠেছিল সোনা রুপো-সহ কোটি টাকার হীরের দুর্গা। তবে এই দুর্গা প্রতিমা যেন শিল্পীর কাছেও বিশেষ আবেগের। তাই পুজো পরবর্তী সময়ে যদি সরকারের তরফ থেকে সংরক্ষণ করা হয় এই প্রতিমা, তবে বিশেষভাবে খুশি হবেন শিল্পী বলেও জানান। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে সংরক্ষণের আবেদন জানিয়েছেন ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর পিতা জয়দীপ দাসও। এবারের পুজোতে তাই সবচেয়ে ভারী এই দুর্গা দেখতে চাইলে আসতে হবে ব্যারাকপুরে।

রুদ্র নারায়ণ রায়