চাষের জমি ক্ষতি

Bangla Video: বন্যার জলে ক্ষতি চাষে, নষ্ট হেক্টর হেক্টর চাষজমি

পশ্চিম মেদিনীপুর: পুজোর আগে ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী থেকেছে ঘাটালের মানুষ। শুধু ঘাটাল মহকুমা জুড়ে নয়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা, সবং, পিংলার পাশাপাশি ঘাটাল, দাসপুর সহ একাধিক জায়গায় ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন স্থানীয় মানুষ। তবে বর্ষার মরশুমে বেশ আশা করেই চাষ করেছিলেন চাষিরা। তবে টানা বেশ কয়েকদিনের বৃষ্টি, ডিভিসি সহ একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে সব আশা-নিমেষেই শেষ। জলের তলায় কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমি। ক্ষয়ক্ষতি প্রায় একশো শতাংশ। সামান্য কিছু জায়গায় সামান্য উদ্ধার সম্ভব হলেও বেশিরভাগ জায়গায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখনও ঘাটাল মহকুমার বেশ কিছু এলাকায় জলমগ্ন পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া নিজের হাতে তৈরি করল নজর কাড়া দুর্গা প্রতিমা

পুজোর আগে নিম্নচাপের জেরে টানা কদিনের বৃষ্টি বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ঘাটালে। তবে গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড এবারের এই বন্যা। ঘটনার প্রায় ১৫ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় জলমুক্ত হয়নি। তবে আমন চাষে গৃহস্থের খাবার এবং লাভের আশায় চাষিরা চাষ করলেও সমস্ত চাষের জমি জলের তলায়। ক্ষতি হয়েছে ধান, সবজি চাষে। এখনও হিসেব সম্পূর্ণ না হলেও বেশ কয়েক হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। জমিতে সোনালী ফসল ফলিয়ে সামান্য লাভে চলে সারা বছরের সংসার। তবে এবার সেই লাভে কার্যত দাঁত বসিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ভয়াবহ বন্যায় ডুবে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য জমি। ক্ষতি হয়েছে চাষে। ইতিমধ্যে জেলা কৃষি দফতরের উদ্যোগে একাধিক জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে কৃষি দফতরের মতে, সামান্য কিছু জায়গা পুনরুদ্ধার সম্ভব হলেও অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে বন্যার জলে। নতুন করে চাষের আশা নেই এই জমিতে। স্বাভাবিকভাবে বিশাল অংকের ক্ষতির মুখে জেলার চাষিরা। সরকারিভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি আধিকারিক।

প্রসঙ্গত পুজোরমরশুমে যে আশা নিয়ে মানুষ অর্থ খরচ করে চাষ করেছিলেন, তাকার্যত ভেসে গিয়েছে বন্যার জলে। শিলাবতী, কংসাবতী নদীর ভয়াবহ প্লাবনে ক্ষয়ক্ষতি চাষে। সরকারি সাহায্য পেলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। তবে বর্তমানে পুজোর আগে সমস্যায় জেলার বানভাসি কৃষকেরা।

রঞ্জন চন্দ