মহালয়ার আগে তমলুকের রেডিও কেনাবেচা

Durga Puja 2024: মহালয়া এলেই কদর বাড়ে রেডিওর!

পূর্ব মেদিনীপুর: বুধবার ভোরে মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা। মহালয়া এবং রেডিও বাঙালির কাছে নস্টালজিয়ার কাজ করে। তাই প্রতিবছর মহালয়ার আগে কদর বাড়ে রেডিও-র। বর্তমান সময়ে বিনোদনের মাধ্যম বদলাতে বদলাতে হাতের মুঠোয় এসে বন্দী হয়েছে। রেডিও যেন এক প্রাগৈতিহাসিক যুগ! তবুও প্রতিবছর মহালয়া এলেই খোঁজ পড়ে রেডিওর। মহালয়ার সময় নতুন রেডিও কেনার পাশাপাশি ঘরে পড়ে থাকা পুরানো রেডিও সারানোর ধুম লাগে দোকানে।

আরও পড়ুন: ময়নাগুড়ির দুর্গাপুজায় এবার নতুন মাত্রা কলকাতার শিল্পীদের! রং তুলিতে উত্তরবঙ্গের চিত্র

একটা সময় ছিল, মানুষের একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম বলতে রেডিও। মহালয়ার দিন ভোর বেলায় বাঙালির ঘরে ঘরে রেডিও থেকে ভেসে আসত বীরেন্দ্র কৃষ্ণের গলায় আশ্বিনের শারদও প্রাতে বেজে ওঠে আলোকমঞ্জরী মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্র কৃষ্ণের গলায় বেতার তরঙ্গে ভেসে আসা চণ্ডীপাঠ মানেই বাঙালির নস্টালজিয়া। আধুনিক যুগে স্মার্টফোনে সহজেই চাইলে বীরেন্দ্র কৃষ্ণের চণ্ডীপাঠ শোনা যায়, কিন্তু স্মার্টফোন বা অত্যাধুনিক গ্যাজেট এলেও রেডিওর জায়গা নিতে পারেনি। প্রতিবছর মহালয়ার আগে রেডিও ফিনিক্স পাখির মত বারবার ফিরে আসে।

রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহালয়ার দিন ভোরবেলা আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জরি, এই ধ্বনিতেই ভোর থেকেই যেন পুজোর শুরু হয়ে যায়। অত্যাধুনিক গেজেট, স্মার্টফোনের যুগেও, আপমর বাঙালি খোঁজ করে রেডিও। সারা বছর ধুলো মেখে রেডিও ঘরের কোন পড়ে থাকলেও মহালয়ার আগে পুরানো রেডিও নিয়ে আপামর বাঙালি ছোটে রেডিও সারাইয়ের দোকানে। প্রতি বছরই মহালয়ার আগে সেই একই ছবি ধরা পড়ে। এবছরও তার অন্যথা হল না, মহালয়ার আগে রেডিওর দোকানে ভিড়।

মহালয়ার আগে তমলুকের একটি পুরানো রেডিও দোকানে মানুষের আনাগোনা রেডিও সারাই এবং কেনার জন্য। মহালয়ার দিন ভোরবেলায় বীরেন্দ্র কৃষ্ণের গলায় চণ্ডীপাঠ শোনার জন্য কেউ এসেছেন বাড়িতে পড়ে থাকা ধুলোমাখা খারাপ রেডিও সারাতে কেউ বা এসেছেন নতুন রেডিও কিনতে। তবে ডিজিটালের যুগে স্মার্টফোন ও চাকচিক্য টিভির মহালয়া কিছুটা হলেও কমেছে রেডিওর প্রাধান্য।

সৈকত শী