মুম্বই: প্রেম বড়ই মধুর, সম্পর্ক পরিণতি পেলে তা আরও বর্ণময় হয়ে ওঠে আর কিছু প্রেম প্রেমিকের সঙ্গে পথ চলাতেই শেষ হয়ে যায়, ঘর বাঁধার স্বপ্ন থেকে যায় অধরা৷ এখন যেমন বলিউডের সঙ্গে ক্রিকেটের সম্পর্ক খুব কাছাকাছি কিন্তু এট শুধু এখন নয়, অনেক প্রাচীন সময় থেকেই বলিউডের সঙ্গে ক্রিকেটের সম্পর্ক খুবই কাছের ছিল৷ দীর্ঘ সময় এই দুই লাইমলাইটে থাকা দুনিয়ার মানুষ৷ এই অধুরা প্রেমের গল্প আপনাদের বলব তা হল ভারতের অন্যতম সেরা গায়িকার সঙ্গে ক্রিকেট প্রশাসনের তাবড় ক্ষমতাধিকারীর গভীর প্রেমের গল্প৷ Photo- Fileলতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) খুব অল্প বয়সে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন৷ লতা মঙ্গেশকর নিজের ভাই ও বোনেদের তত্ত্বাবধানের জন্য একেবারে অল্প বয়সে পেশাদার ভাবে গান গাইতে শুরু করেন৷ নিজের কেরিয়ার থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি নিজের ভাই-বোনদের বড় করে তুলতে শুরু করেন৷ এইভাবে ভাইবোনদের প্রতিপালন ও সংসারের খেয়াল রাখতে গিয়ে কখনও নিজের জীবনে বিয়ে করে সংসারী হননি৷কিছুদিন পরে যখন লতা মঙ্গেশকরের পরিবার যখন অনেকটা স্থায়ী জায়গায় যায় তখন মঙ্গেশকর পরিবারের বাকি ছেলেমেয়েরা একে একে বিয়ে করে পরিবার নিয়ে এগোতে শুরু করে৷ লতাজী তখন ব্যস্ত হয়ে যান ভাই-বোনেদের সন্তানদের প্রতিপালন করতে৷ নিজেরও যে কোনও ব্যক্তিগত জীবন থাকতে পারে তা কখনও আমলও দেননি লতা মঙ্গেশকর৷জীবনও প্রেম এসেছিল তাও একেবারে চুটিয়ে নিখাদ গভীর ভালোবাসা৷ কারণ যাঁর সঙ্গে তাঁর নাম যুক্ত হয়েছিল তিনি লতা মঙ্গেশকরকে বিয়ে না করতে পারার জন্য আজীবন বিয়েই করেননি৷ এই ব্যক্তি হলেন বিসিসিআইয়ের (BCCI) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাজ সিং দুঙ্গারপুর (Raj Singh Dungarpur)৷ লতা যেহেতু পরিবারের পাশে থাকবেন বলে বিয়ে করে রাজপরিবারে যেতে পারেননি, তেমনিই লতাকে ভালবেসে পাননি বলে রাজ সিং দুঙ্গারপুরও কোনওদিনও বিয়ে করেননি৷রাজ সিং দুঙ্গারপুর (Raj Singh Dungarpur) রাজস্থানের রাজ পরিবারের সদস্য৷ তাঁর বাবা চাননি তাঁদের পরিবারে রাজ ঘরনা ছাড়া অন্য কোনও কেউ বউ হয়ে আসুক৷ তাঁর মতে লতা মঙ্গেশকরের মতো সাধারণ পরিবারের মেয়ে তাঁদের পরিবারের পুত্রবধূ হন৷ রাজ সিং দুঙ্গারপুরের বাবা-র নাম ছিল মাহারওয়াল লক্ষ্মণ সিংজি৷ লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের কাছের বন্ধু ছিলেন তিনি৷ এমনকি একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ি রাজ সিং লতাকে মিঠ্টু নামে ডাকতেন৷সে সময় একাধিক সংবাদমাধ্যমে লতা মঙ্গেশকর ও রাজ সিং দুঙ্গারপুরের প্রেম নিয়ে লেখালেখিও হয়েছিল৷ রাজ ও লতা একে অপরকে বিয়ে করবেন ঠিক করেছিলেন৷ কিন্ত রাজ সিং দুঙ্গারপুরের বাবা সেই ভাবনায় জল ঢেলে দেয়৷ বাবার সিদ্ধান্ত মেনে নেন রাজ সিং দুঙ্গারপুর৷ কিন্তু দুজনেই নিজের পরিবারকে জানিয়ে দেন আর কাউকে কোনওদিনও বিয়ে করবেন না তাঁরাতবে তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চিরদিনই ফল্গু ধারার মতোই বয়ে চলেছিল৷ শোনা যায় ১৯৮৩ তে ভারতীয় বিশ্বকাপ জয়ী দলের সম্বর্ধনা দেওয়ার সময় বোর্ডের হাতে কোনও টাকাই ছিল না, তখন লতা মঙ্গেশকর কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে অনুষ্ঠান করেন৷আরও একটি মিষ্টি মুহূর্তের কথা রাজ সিং দুঙ্গারপুর জানিয়েছিলেন৷ সেই সময়টা ছিল লতার ভারতরত্ন পাওয়ার খবর৷ ভারতরত্ন পাওয়ার খবর যেদিন এসেছিল সেই সময় একসঙ্গে লন্ডনে ছিলেন রাজ সিং ও লতা৷ খবরটি পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন বলিউডের কোকিলকণ্ঠী৷ আর সেই সময়ে তিনি রাজ সিংকে জানান যে তাঁর খুব ভাল লাগছে৷
