দক্ষিণবঙ্গ, নদিয়া, ব্যবসা-বাণিজ্য New Business Idea: শিল্পীদের জন্য খুলে গেল নতুন আয়ের পথ, আর টাকা নিয়ে চিন্তা থাকবে না Gallery October 8, 2024 Bangla Digital Desk একসময় প্রতিমাই হত মাটির, গহনা কিংবা সাজ পরবর্তীতে সোলা কিংবা ডাকের সাজ অথবা মোম বিরাজের আঠা দিয়ে থার্মোকল, জরি, পুঁথি, চুমকি কিংবা বুলানের সাজ। মৃৎশিল্পীদের শিল্পকর্ম যেমন বিষয় ভাবনা আধুনিকীকরণ হতে থাকল তেমনই প্রতিমার পেছনে চালি, সাজসজ্জা কিংবা পোশাকেও দেখা মিলল বৈচিত্র্যের। সেখানেও অভিনব এবং নতুনত্বের ছোঁয়ায় শিল্পকর্মের উৎকর্ষতা লক্ষ্য করা গেল। মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত নয় অথচ সুসজ্জার কাজে অসাধারণ পারদর্শিতা সম্পন্ন বেশ কিছু শিল্পী এখন নিজস্ব কারখানা গড়ে তুলেছেন। দূরদূরান্ত এমনকি দেশ বিদেশ থেকে প্রবাসী বাঙালিদের দুর্গাপুজো বা অন্যান্য পুজোর ক্ষেত্রে প্রতিমা যেমন অর্ডার দেন তেমনই সাজঘরেও যোগাযোগ করেন একই সঙ্গে।নদিয়ার শান্তিপুর শহরে বৈষ্ণব পাড়ায় অমল কুন্ডুর এমনই এক সাজঘরে এ প্রজন্মের অনেকেই শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন, যার মধ্যে প্রীতম খাঁ অন্যতম। প্রীতম বর্তমানে স্নাতক স্তরের অন্তিম বর্ষের ছাত্র, বাবা কিশোর খাঁ তাঁতের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে একমাত্র সন্তান হিসেবে প্রীতমকে গত করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বেছে নিতে হয় উপার্জনের একটি পথ। আঁকাব সঙ্গে যুক্ত প্রীতম যোগাযোগ করে অমল কুন্ডুর কারখানায়। সেখানেই বছর তিনেক কাজ করার পর এখন বাড়িতেই তার নিজের কারখানা। অন্যকে শেখানোর উপযুক্ত না হলেও প্রীতমের হাতের কাজ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। দুর্গাপুজো হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি, ইতিমধ্যেই সাত আটটি দুর্গাপ্রতিমার সাজসজ্জা পাঠাতে হবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তারপরেই রয়েছে জগদ্ধাত্রীর সাজসজ্জা যাবে কলকাতায়। বাঁকুড়ায় যাবে একটি লক্ষ্মী প্রতিমার সাজসজ্জা। আর এইরকমই প্রায় সারা বছর কাজ থাকার জন্য সম্প্রতি বছর খানেক আগে একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেলেও তাতে যোগ দেওয়া হয় নিচূড়ান্ত এই ব্যস্ততার কারণে। তবে চাকরি থেকেও সৃজনশীলতা এই কাজের প্রতি তার বেশি ঝোঁক, সেই কারণেই চাকরি গেলেও কোনও আক্ষেপ নেই মনের মধ্যে। তবে এই পেশাতেও যে স্বনির্ভর হওয়া যায় সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী প্রীতম। তবে শুধু প্রতিমাই নয় সম্প্রতি বিভিন্ন নাচের এবং নাটকের দল কিংবাসারা বছর দুর্গা কিংবা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ধারাবাহিকতার সঙ্গে যারা করে থাকেন সেক্ষেত্রেও সেই সমস্ত শিল্পীদের মাথার মুকুট কিংবা বাজুবন্ধ কোমরবন্ধ কিংবা পুরুষ মহিলার বিভিন্ন ধরনের অলংকার বানানোর কাজ ও শুরু করেছে প্রীতম। তবে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের পর অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এ ধরনের বিভিন্ন প্রতিমা অবয়ব তৈরি করে তা ফটোফ্রেমে বাধাই করে দেওয়ার জন্য। আর এই আগ্রহ থেকে প্রীতম উপলব্ধি করেছে এটাও একটি নতুন বিষয় হতে পারে শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে উপার্জনের।