দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : পিতৃপক্ষের অবসান,দেবীপক্ষের সূচনা,তর্পণের মধ্যে দিয়ে চলল পূর্বপুরুষদের স্মরণ। ভোর থেকে তর্পনের জন্য দামোদরের বিভিন্ন ঘাটে ব্যাপক ভিড় পুণ্যার্থীদের। এই ছবিটা প্রত্যেক বছর খুবই সাধারণ। তবে মহালয়ায় দামোদরের নদী ঘাটগুলিতে নিরাপত্তার ছবিটা অনেকের নজর কেড়েছে। যে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থা ছিল।
সম্প্রতি নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টিপাতে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছিল দামোদর। এখনও জলাধারগুলি থেকে মাঝেমধ্যেই জল ছাড়া হচ্ছে। সেই কারণে মহালয়ার আগেই প্রশাসনের তরফ থেকে নদীঘাটগুলির নিরাপত্তার দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছিল। মহালয়ার ভোর থেকে নদী ঘাটগুলিতে ছিল নিরাপত্তা। পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনওরকম দুর্ঘটনা যাতে না হয়, সেই দিকেই নজর ছিল প্রশাসনের।
আরও পড়ুন : জেদ করেই শুরু হয়েছিল পুজো, এবারেও আয়োজন জোরদার
দুর্গাপুর, আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় দামোদরের ঘাটে তর্পণ করতে ভিড় জমান মানুষজন। পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে সকলে তর্পণ করতে নদীতে নামেন। পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে জল অর্পণ করেন। কিন্তু সম্প্রতি অতীতে দামোদর নদীতে একাধিক দুর্ঘটনার ছবি সামনে এসেছে। অসচেতনতার জন্য প্রাণ গিয়েছে অনেকের। তাই তর্পণের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে নদীতে নেমে যাতে কেউ সমস্যায় না পড়েন, তাই আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে সকলকে।
আরও পড়ুন : ঠিক হল দুর্গাপুজোর কার্নিভালের দিন! দর্শকদের স্রোত সামলাতে উদ্যোক্তা ও প্রশাসনের প্রস্তুতি তুঙ্গে
এছাড়াও প্রশাসনের তরফ থেকে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘাট যেখানে পূর্ণ্যার্থীদের ভিড় বেশি হয় সেখানে রাখা হয়েছিল উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের কোনওভাবে যদি কেউ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন তাকে যাতে দ্রুত উদ্ধার করা যায় সেই চিন্তা করে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সবমিলিয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে পিতৃপক্ষের অবসানে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে জল অর্পণ করেছেন পুণ্যার্থীরা।
নয়ন ঘোষ