গঙ্গার ঘাট গুলিতে তর্পনের জন্য ভিড়

Mahalaya: হুগলির ঘাটে ঘাটে প্রশাসনের নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে সম্পন্ন তর্পণ!

হুগলি: আজ মহালয়া, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে অমাবস্যা তিথিতে পিতৃ পক্ষের অবসান আর দেবী পক্ষের সূচনা ৷ এই লগ্নে জলাশয়ে দাঁড়িয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে বৈদিক মন্ত্রচারণ করে জলদান করার প্রাচীন রীতি আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয় । পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণের জন্য রাজ্যের একাধিক নদীর ঘাটে গিয়েছেন অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ ৷ তাই পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঘাটগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৷ পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে গঙ্গায় দাঁড়িয়ে তর্পণ করার রীতি বাংলার বহু প্রাচীন রীতির মধ্যে অন্যতম।

আরও পড়ুন: বাজেটে কাটছাঁট! বন্যা পীড়িতদের পাশে চুঁচুড়ার এই পুজো কমিটি

তর্পন উপলক্ষে হুগলির সমস্ত গঙ্গার ঘাটে মানুষের ঢল নেমেছে সকাল থেকেই। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে পিতৃ পুরুষদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাচ্ছেন বর্তমান প্রজন্মরা। এই ধরনের পরিস্থিতিতে যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিয়ে বিশেষ সচেতন রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। প্রত্যেকটি গঙ্গার ঘাটে যেখানে তর্পণ করা হচ্ছে সে ঘাট গুলিকে নিরাপত্তার বলায়ে ঘিরে রেখেছেন পুলিশ প্রশাসন। অমাবস্যার কোটাল থাকার জন্য যে জলস্তর বৃদ্ধি হবে সেই দিকে নজর রেখেছে পুলিশ। হুগলির কোন্নগরের বিভিন্ন ঘাটে সকাল দশটা থেকে ১১ টা পর্যন্ত তর্পণ করা বন্ধ করা হয়েছে জোয়ারের জলস্তর বৃদ্ধি ও বান ডাকার কারণে।

আরও পড়ুন: ঠাকুরদালানে ৩৫০ বছরের এই দুর্গাপুজো প্রিয় ছিল সত্যজিৎ থেকে উত্তম-সুচিত্রার

তবে সকাল থেকে বিভিন্ন গঙ্গার ঘটে অগুনতি মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ‌প্রসঙ্গত গত বছর উত্তরপাড়ার গঙ্গার ঘাটে তর্পণ করতে গিয়ে জোয়ারের স্রোতে ভেসে গিয়ে প্রাণহানি হয়েছিল পাঁচজনের। তারপর থেকেই এ বছর কড়াকড়ি নিরাপত্তা করেছে পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা গুলি। অগুনতি মানুষের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য রয়েছে যেমন পুলিশ বাহিনী তেমনি রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা এই লগ্নে পিতৃপুরুষকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে অর্পণ করছেন অসংখ্য মানুষ।

রাহী হালদার