কলকাতা Sandip Ghosh-RG Kar Case: জেলের মধ্যে সঞ্জয়ের সঙ্গে কী এমন ঘটেছে! আদালতে আইনজীবীর বিস্ফোরক দাবি! সন্দীপকে নিয়ে বড় অভিযোগ Gallery October 4, 2024 Bangla Digital Desk কলকাতা: আরজি কর ধর্ষণ ও খুনে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্যের উল্লেখ রয়েছে বলে খবর। সিবিআইয়ের দাবি, সন্দীপ ও অভিজিৎ-দুজনই অত্যন্ত প্রভাবশালী, এঁদের জামিন হলে প্রভাব খাটিয়ে সাক্ষীদের প্রভাবিত করবেন। প্রমাণ লোপাট করবেন। এরা খুন ও ধর্ষণের ঘটনাকে সুইসাইড বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। এমনকী তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে আড়ালের চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র, খুন ও ধর্ষণ। এরপরই অভিজিতের আইনজীবী বলেন, ”যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। আমার পালিয়ে যাওয়ার অবস্থা নেই। আমি পাবলিক সার্ভেন্ট। কোনও ডেভেলপমেন্ট নেই। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ডেটা এক্সট্রশন হয়েছে বলে অভিযোগ। টালা থানার ডিভিআর, সিসিটিভি, হার্ড ডিস্ক মোবাইল ফোন সিএফএসএল থেকে স্ক্কুটিনি করা হয়েছে। সেখান থেকে পরিষ্কার নাকি এরা ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়র চেষ্টা করেছে। আর অভিযোগ জেলে জেরায় নাকি অসহযোগিতা করেছে। কিন্তু এই গ্রাউন্ড তো জামিন যোগ্য। সলিড গ্রাউন্ড কোথায়? (ইভেসিভ রিপ্লাই) এরা তদন্ত প্রশ্নে অসহযোগিতা করার জন্য তো আটকে রাখা যায় না?” সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীও বলেন, ”এই গ্রাউন্ড থেকে কীভাবে আটকে রাখা যায়? এটা সব কটি জামিন যোগ্য। এটা দুর্ভাগ্য জনক। সিবিআই ভাবছে আপনি জামিন দেবেন না। সিল কভারের এর কোনও বিষয় নেই। এখানে সিডি বা কেস ডায়েরি দেওয়া হয়। আবার হয়ে গেলে নিয়ে যায়। এটা সিবিআই যেমন বলছে, তেমন নয়। জেলে কী প্রশ্ন জিগ্যেস করেছে আর আমি কী উত্তর দিয়েছি, সেটা দেখবেন। ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা, এটাও জামিন যোগ্য।” সন্দীপের আইনজীবী আরও বলেন, ”আমাকে জামিন দিলে তথ্য প্রমাণ নাকি নষ্ট করে দেব? তাহলে সিবিআই এতদিন কী বাজেয়াপ্ত করল?” কিন্তু এদিন আদালতে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর কথা বলেছেন সঞ্জয় রাইয়ের আইনজীবী। তিনি বলেন, ”জেনারেল ওয়ার্ডে থাকতে চায় সঞ্জয়। তাই ওর সেল থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করলে ভাল হয়। কারণ সঞ্জয় একাকিত্ব বোধ করছে।” তাঁর জামিনের আবেদনও করা হয়। এরপর ভার্চুয়ালি সঞ্জয় রাই জামিনের কথা জানালে বিচারক জানান, তার আইনজীবী এ নিয়ে বলেছেন। এরপর সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ”ওঁদের জামিন দিলে ওঁরা যে পালিয়ে যাবেন না, তা কী গ্যারান্টি দিতে পারেন? ইন ক্যামেরা ট্রায়ালের জন্য আগে আবেদন জানিয়েছিলাম। সেটা ওঁরা বিরোধিতা করেন। তদন্তের সব কিছু পাবলিক ডোমেইনে চলে যাচ্ছে। তাই সিল করা কভারে আমরা দিতে চাই।” এরপরই অভিজিতের আইনজীবী বলেন, ”পাবলিক ডোমইনে কথা বলছেন, তাহলে রিমান্ড অর্ডারে কেন সব দিচ্ছে সিবিআই? আপনি জানেন ২০ দিন অভিজিৎ কাস্টডিতে আছেন। যে কোনও শর্তে জামিন দিন। ওসি একজন পাবলিক সার্ভেন্ট।” প্রসঙ্গত, জেলে গিয়ে দুজনকে টানা তিন দিন জেরা করে সিবিআই। কিন্তু সন্দীপ ও অভিজিৎ দুজনই অসহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে সিবিআই।