হাওড়া: খাবারের গন্ধে ম ম করছে স্কুল! মুখরোচক প্রায় সমস্ত খাবার হাজির বিদ্যালয়ে। চিকেন বাটারফ্রাই, মোমো, ফিশ ফিঙ্গার, দই বড়া, পাপরি চাট ফুচকা নানা আকর্ষণীয় খাবারের স্টল। প্রতিদিনের নিয়ম করে পঠন পাঠনের ব্যস্ততার মাঝে অন্য একটা দিন। এদিন দারুন উৎসাহ দেখা গেল ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকার মধ্যে। বিদ্যালয়ে খাবার স্টল সেখানে পড়ুয়ারা বিক্রেতার ভূমিকায় অন্যদিকে ক্রেতার ভূমিকায় ছাত্রছাত্রী অভিভাবক শিক্ষক – শিক্ষিকা।
সরকারি স্কুলে এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা৷ এদিন স্কুলে খাদ্য মেলা ঘিরে সকাল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। প্রতিটি স্টলে তিন থেকে চারজন করে ছাত্র-ছাত্রী দায়িত্ব সামাল দেন বিক্রেতা হয়ে।
প্রতিদিন ক্লাসে অঙ্ক হয়। আনন্দের সঙ্গে খাদ্য মেলার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ এই প্রথম। হাতে কলমে হিসাব-নিকাশ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বাস্তববোধ আরও অনেক বেশি জাগ্রত হবে বলেই জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
হাওড়া সালকিয়া শীতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হল খাদ্য মেলা। বর্তমান সময়ের সরকারি স্কুলে ক্রমশ ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কম হচ্ছে। সেই দিক গুরুত্ব রেখে বেসরকারি ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।
নতুন নতুন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে সরকারি বিদ্যালয় গুলিতে। এর মধ্যে অন্যতম হল, খাদ্য মেলা, প্রদর্শনী, তিথি ভোজনে মত নানা আয়োজন। হাওড়া শহরে সরকারি স্কুলে খাদ্য মেলার আয়োজন। এর আগে গ্রামীন হাওড়ার বেশ কিছু স্কুলে খাদ্য মেলা অনুষ্ঠানের দারুন সাড়া ফেলতে দেখা গেছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায় , মাত্র কয়েকদিন আগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। বিদ্যালয়ের খাদ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে, অভিভাবকদের ঐক্যবদ্ধ করে আলোচনা। শুরু থেকেই দারুন উৎসাহিত হতে দেখা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের। এই বিশেষ দিনে ফুল ও বেলুন দিয়ে বিদ্যালয় সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। সময় মত ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক মেলায় অংশগ্রহণ করেন খাবারের ডালির সহ নানা সামগ্রী নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে সালকিয়া শীতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী চক্রবর্তী জানান, বিদ্যালয় লেখাপড়া ছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা হাতের কাজ বিভিন্ন ভাবেই ছাত্র-ছাত্রীদের নানা কাজে উৎসাহিত করার রেওয়াজ রয়েছে এই বিদ্যালয়ে। তবে বিদ্যালয় খাদ্য মেলা এই প্রথম, ইতি ছাত্র-ছাত্রীদের বাস্তববোধ এবং হিসাব-নিকাশ সহ একজন ক্রেতা বিক্রেতার অভিজ্ঞতা। যা আনন্দের সঙ্গে নিজেদের জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছে।
Rakesh Maity