আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : একটা সময় এমন ছিল, যখন সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে প্রয়োজন হত সংবাদপত্রের। প্রথমে সেই সংবাদ পত্র পড়ার সুযোগ পেতেন বাড়ির প্রবীণরা। তারপর সারাদিন সেই সংবাদপত্র বিভিন্ন হাতে ঘোরাঘুরি করত। কিন্তু এখন সেই অভ্যাসে কোথাও যেন ভাটা পড়েছে। দিন দিন কমে যাচ্ছে সংবাদপত্রের চাহিদা।
সংবাদপত্রের প্রতি আবেগ এবং চাহিদা বজায় রাখতে ভরসা মহামায়ার ওপর। চিত্তরঞ্জনের ৬ এর পল্লী ক্লাব। এ বছর তাদের দুর্গাপুজোর থিম সংবাদপত্র। সংবাদপত্রের হারিয়ে যাওয়া চাহিদা ফিরিয়ে দিতে অভিনব চিন্তাভাবনা। পুজো উদ্যোক্তাদের কাল্পনিক রূপ বাস্তবে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী। পেপার কাটিং, কাগজের তৈরি প্যাকেট ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই মন্ডপ।
আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে এ কী কাণ্ড পুরুলিয়ায়! এই প্রথমবার এমনটা ঘটল, জানলে চমকে যাবেন
পুজো উদ্যোক্তারা বলছেন, একটা সময় সংবাদপত্র সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেত। কিন্তু বর্তমানে বৈদ্যুতির মাধ্যম, ডিজিটাল মাধ্যমে খবর আরও দ্রুত পৌঁছে যায়। ফলে ভাটা পড়েছে সংবাদপত্রের চাহিদায়। কিন্তু এই সংবাদপত্রের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক আবেগ। তাই আমাদের সকলের উচিত তা বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগী হওয়া। সেজন্যই পুজো মণ্ডপের মধ্যে দিয়ে সেই বার্তা তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিঠুন থেকে কাজলও এসেছেন এই রাজবাড়িতে, পুজোতেও কিন্তু রয়েছে বিরাট আকর্ষণ
প্রসঙ্গত, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আসানসোল, দুর্গাপুর মিলিয়ে একাধিক বিগ বাজেটের পুজো হয়।যেখানে থিমের চমক, আলোকসজ্জার চমক থাকে। কিন্তু বরাবরই অন্য পথে হাঁটে চিত্তরঞ্জন ৬ এর পল্লী ক্লাব। অন্যরকম থিমের মধ্যে দিয়ে তারা দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলেন। যার বিচ্যুতি হয়নি এবারও। অভিনব থিমের মধ্যে দিয়ে উদ্যোক্তারা দর্শকদের সামনে নতুন বার্তা তুলে ধরেছেন।
নয়ন ঘোষ