দুর্গাপুর: তখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ করেই বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম ভেঙে যা দেখলেন, তাতে চক্ষু চড়কগাছ। রীতিমতো আতঙ্কে কাঁটা পরিবারের সকলে। দেখতে পেলেন ঘরের মেঝেতে তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল দুটি গর্ত।
যে কারণে পুজোর মুখে ঘরছাড়া হয়েছে পরিবারটি। খনি অঞ্চলে ধসের আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছে না। অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর-সহ খনি অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় একাধিক ধস নামছে। কখনও ধস দেখা যাচ্ছে ফাঁকা কোনও মাঠে, কখনও আবার ধসের জেরে তৈরি হচ্ছে বাড়িতে ফাটল। বিগত কয়েক বছরে এই ছবিটা নিয়মিত হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: কেন ওই রাতে এত নৃশংস ঘটনা ঘটল আরজি করে? সিবিআই চার্জশিটে একটি তথ্যেই ‘স্পষ্ট’ সব, ভয়ঙ্কর!
পুজোর আগে ভারী বৃষ্টিপাতের পর থেকে ধসের ঘটনা বেড়েছে খনি অঞ্চলে। আর তার জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষের ঢিলেঢালা মনোভাবকেই দায়ী করছেন স্থানীয় মানুষজন। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত নবগ্রামের মুসলিম পাড়ায় তৈরি হয়েছে এই ধস। একটি বাড়িতে রাতের দিকে বিকট শব্দ শুনতে পান পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: আরজি করে ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তারের গণইস্তফা, তীব্রতা বাড়ল জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের
ঘুম ভেঙে দেখেন ঘরের মেঝেতে এই দুটি বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে খবর দেওয়া হয়। বাড়ির ভিতরে ধসের কারণে ইতিমধ্যেই ঘরছাড়া হয়েছে পরিবারটি। তাদের স্থানীয় একটি আইসিডিএস সেন্টারে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অভিযোগ করেছেন, ইসিএল কর্তৃপক্ষের খনিতে ব্লাস্টিং এর জেরে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ধস এবং ফাটল দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া কয়লা উৎপাদনের পর ফাঁকা জায়গা ভালভাবে ভরাট করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠছে। পাশাপাশি পুনর্বাসন না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। পুজোর মুখে এই ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন সকলে।
নয়ন ঘোষ