পশ্চিম মেদিনীপুর : মা আসছে।দিকে দিকে তাই উৎসবের মেজাজ। নানা, বাধা প্রতিকূলতাকে হারিয়ে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠছে সাধারণ মানুষ। তবে মাত্র কয়েক দিনের আগের ভয়াবহতা বদলে দিয়েছে সবকিছু। নাগাড়ে বৃষ্টি, বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল ঘাটালে। তবে সেই বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। এখনও একাধিক নদীতে জল টইটুম্বুর অবস্থায়। শুধু তাই নয় অন্যদিকে প্লাবনের ফলে একাধিক রাস্তা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘাটালের মনসুকা এলাকায় অসমাপ্ত ব্রিজ থাকায় এবার নদীপথেই নৌকায় চাপিয়ে দেবী দুর্গাকে আনা হল মন্ডপে। যদিও ভরা নদীতে মা দুর্গার আগমনী বাড়তি শোভা বাড়িয়েছে।
নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে মনসুকা এলাকায় ঠাকুর নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থলপথ নয়, জল পথেই নিয়ে গেলেন উদ্যোক্তারা। কারণ বন্যার কারণে একদিকে যেমন রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা, অন্যদিকে জলের তোড়ে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী প্রতিমা নদীতে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়।ঘাটাল ব্লকের মনসুকার ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ছবি দেখা গিয়েছিল কদিন আগে। তাই একটু দেরিতে হলেও আস্তে আস্তে সমস্ত কিছু নতুন করে গড়ে তুলেছেন ঘাটালের বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলি।
আরও পড়ুন : বন্যার জলে ক্ষতি চাষে, নষ্ট হেক্টর হেক্টর চাষজমি
ঘাটালের মনসুকার পুজো উদ্যোক্তারা জানালেন এই বছরের পুজো থিম মহাকাল। মধ্যপ্রদেশের মহাকাল মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে তাদের মন্ডপ বা থিম। বৃষ্টির জল ও বিভিন্ন জলাধার থেকে ছাড়া জলের কারণে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ দিনের বন্যার ফলে জল জমে প্লাবিত ছিল বিভিন্ন জায়গা। আর বন্যায় ভেঙে গিয়েছে মনসুকার বাঁশের সাঁকো ।তাই নৌকায় করে দেবী মন্ডপে আনলেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন : ঘাটালের রাস্তার এ কী অবস্থা! যাতায়াত তো দুরস্ত, দেখলে আঁতকে উঠবেন
দিন কয়েক আগে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে নাজেহাল হয়ে উঠেছিলেন ঘাটালের মানুষ। ক্রমশ উন্নতির পথে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি। নতুন করে পুজোর আনন্দে ছন্দে মেতে উঠবেন গ্রামের মানুষ, তারই প্রস্তুতি। তাই জল পথেই দেবী দুর্গাকে আনা হল মণ্ডপে।
রঞ্জন চন্দ