কোচবিহার: বাঙালির যেকোনও উৎসবে মিষ্টির সম্ভার থাকবে না তাও আবার হয় নাকি! তাইতো বাঙালির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর মধ্যে প্রচুর মিষ্টির সম্ভার দেখতে পাওয়া যায়। সেই কথা মাথায় রেখেই, জেলা কোচবিহারের প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান চারটি নতুন মিষ্টির তৈরি করেছে। এই মিষ্টি তৈরি করতে কারিগর নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতা থেকে। কলকাতার কারিগরের তৈরি এই চারটি মিষ্টি এই প্রথম জেলা কোচবিহারের মানুষেরা খেতে পারছেন। আগে কখনও এই ধরনের মিষ্টি তৈরি হয়নি জেলায়। ফলে স্বাভাবিকভাবে এই মিষ্টিগুলি নিয়ে আলাদা উদ্দীপনা রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
মিষ্টির দোকানের ম্যানেজার মঙ্গল সাহা জানান, “নতুন তৈরি হওয়া এই চারটি মিষ্টি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দোকানের গ্রাহকদের মধ্যে। এই মিষ্টিগুলির নাম বেক রসগোল্লা, নবরত্ন কালাকান্দ, ম্যাঙ্গো মালাই এবং বোম্বে রোল। এই চারটি মিষ্টির দাম ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে রাখা হয়েছে। যাতে প্রায় প্রত্যেক গ্রাহক এই নতুন মিষ্টি গুলির স্বাদ নিতে পারেন। তাইতো ইতিমধ্যেই বহু গ্রাহক এই মিষ্টিগুলিকে পছন্দ করতে শুরু করেছেন। কলকাতার কারিগর এই প্রথম কোচবিহার জেলায় এই ধরনের মিষ্টি তৈরি করলেন।”
কলকাতার মিষ্টির কারিগর হেমন্ত দাস জানান, “তিনি প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর গুরুদেব তাঁকে এই ধরনের নতুন মিষ্টি তৈরি করার বিষয়গুলি শিখিয়েছিলেন। এই প্রথম তিনিই কোচবিহারে এসেছেন। এবং কোচবিহারে তাঁর তৈরি মিষ্টির জনপ্রিয়তা দেখে বেশ অনেকটাই খুশি তিনি। আগামী দিনেও তিনি আরও নিত্য নতুন মিষ্টি তৈরি করবেন। যা প্রত্যেকটি মানুষের বেশ অনেকটাই পছন্দ হবে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ এই মিষ্টি জেলার বাইরেও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। জেলার পাশাপাশি বাইরেও মিষ্টির চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে।”
চলতি বছরের দুর্গাপুজোয় বেশ অনেকটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই মিষ্টির দোকান। এই মিষ্টির দোকানে তৈরি হওয়া বিশেষ চার প্রকারের মিষ্টি প্রেমীদের অনেকটাই আকর্ষণ করছে। দুর্গাপুজোর আনন্দে নতুন মিষ্টি স্বাদ যেন আরও কিছুটা বাড়তি আনন্দ যুক্ত করেছে।
Sarthak Pandit