রুদ্রনারায়ণ রায়. উত্তর ২৪ পরগনা: রেলপথে যাত্রা সম্পন্ন হতেই, কাউন্টার থেকে কাটা টিকিটটি ছুড়ে ফেলে দেন অনেকে। কিন্তু ফেলে দেওয়া সেই টিকিটই যে একজন শিল্পীর এমন রঙিন ক্যানভাস হয়ে উঠতে পারে, তা সীমান্ত এলাকা বনগাঁর চাপাবেড়িয়ার শিল্পী শান্তনু দত্তের শিল্পকর্ম না দেখলে বোঝাই যাবে না। তাই শিল্পীর ছয় থেকে সাত বছরের ভাবনা-চিন্তার অবশেষে মিলল স্বীকৃতি।
ফেলে দেওয়া ৯২ টি ট্রেনের টিকিটের উপর ভারতের প্রয়াত “সুরের রানি” লতা মঙ্গেশকরের ছবি এঁকে নাম তুললেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। ছোটবেলা থেকেই শিল্প-কর্মের প্রতি ছিল বিশেষ আগ্রহ। তবে সুদূর সীমান্ত এলাকা বনগাঁর এই শিল্পীকে প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিদিন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছতে হত কলকাতায়। প্রতিদিন শিল্পশিক্ষার আগ্রহে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার থেকেই জন্মায় এমন অভিনব ভাবনা বলেই জানালেন শিল্পী শান্তনু দত্ত। ট্রেনে যাতায়াতের পথে কাটা টিকিট সকলে ফেলে দিলেও শিল্পী শান্তনুর মাথায় আসে ফেলে দেওয়া এই টিকিটকেই শিল্প সৃষ্টির ক্যানভাস বানানোর।
আরও পড়ুন : বিজয়া দশমীর বরণডালায় রাখুন এই জিনিসগুলি! দেবী দুর্গাকে এই নিয়মে বরণ করলে মঙ্গল, সুখশান্তি সৌভাগ্যের বৃষ্টি
যেমন ভাবনা তেমন কাজ, এরপরই ৯২ টি ট্রেনের বাতিল টিকিট জড়ো করে তৈরি করেন ক্যানভাস। আর তার উপরই হাতের ছোঁয়ায় তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন লতা মঙ্গেশকরের অবয়ব। তার এমন সৃষ্টি দেখেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড কর্তৃপক্ষ তাঁকে দিয়েছে বিশেষ স্বীকৃতি। ছেলের এমন সাফল্যে বাবার চোখেও দেখা গেল জল। পরবর্তীতে, শান্তনু আবারও আঠারোটি টিকিটের উপর একই পদ্ধতিতে আঁকেন সেই ছবি। শিল্পীর এমন সৃষ্টি নজর কাড়ে শিল্প অনুরাগীদের। ফেলে দেওয়া জিনিসেও যে শিল্প সৃষ্টি হতে পারে সেটাই যেন তুলে ধরেছেন শিল্পী শান্তনু দত্ত। বনগাঁর ছেলের নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এ ওঠায় খুশি দত্ত পরিবার সহ এলাকার মানুষজনও।