পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রাম থেকে শহর, দেবী দশভূজার আরাধনায় মেতে উঠেছেন আট থেকে আশি প্রত্যেকে। সাবেকিয়ানা থেকে থিম জেলার মানুষের কাছে অন্যতম আকর্ষণেরকেন্দ্রবিন্দু বিভিন্ন পুজো মন্ডপ। আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ষষ্ঠী থেকেই প্যান্ডেল হপিং শুরু করে দিয়েছেন আপামর সাধারণ মানুষ। জেলার কোথাও ফুটে উঠেছে টুইন টাওয়ার আবার কোথাও কথাকলি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মন্ডপ সজ্জায়। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত গ্রাম-গ্রামাঞ্চলেও নানান থিমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুজো মন্ডপকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরের ছোট বাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি এবারে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় ফুটিয়ে তুলেছেন টুইন টাওয়ার। এখানেই বিভিন্ন রঙিন আলোতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গোটা মন্ডপ। প্রতিদিন বিদেশের এই টুইন টাওয়ার মেদিনীপুরের মাটিতে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। তবে সেখানে দুই মনীষীকে সম্মান জানানো হয়েছে। শুধু প্যান্ডেল হপিং কিংবা পুজো দেখা নয়, মন্ডপের সামনে দেদার সেলফি, ছবি তুলছেন সকলে। স্বাভাবিকভাবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে কোথাও ভাটা পড়েনি।
অন্যদিকে জেলার প্রত্যন্ত ব্লক কেশিয়াড়িতে কথাকলির আদলে পুজো মন্ডপকে ফুটিয়ে তুলেছে কেশিয়াড়ি ডায়মন্ড ক্লাব। ভারতীয় নৃত্যশাস্ত্রের অন্যতম কথাকলি। যেখানে কলাকুশলীরা বিভিন্ন ধরনের মুখোশ পরে নৃত্য প্রদর্শন করে। সেই কথাকলিকে এবার থিমে ফুটিয়ে তুলেছেন উদ্যোক্তারা। গোটা মন্ডপ জুড়েই কথাকলির মুখোশ। দক্ষিণ ভারতীয় এই শিল্প রুচিকে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় মানুষের কাছে প্রদর্শন করেছেন তারা।
অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরে মহিলাদের দ্বারা আয়োজিত কেরানীতলা উৎকর্ষিনি ক্লাবেও ধর্মীয় আদলে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মন্ডপ। থিমে রয়েছে দশমহাবিদ্যার আদল।একাধিক দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে পুজো মন্ডপে। শুধু তাই নয়, প্রাচীন দিনের পুঁথি, কুলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে প্যান্ডেল। সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত এই দুর্গাপুজো। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভালভিড় জমছে মন্ডপে। একইভাবে জঙ্গলমহল অধ্যুষিত শালবনী ব্লকের শালবনি স্টেশনপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির আয়োজনে এবারের দুর্গাপুজোয় সাবেকিয়ানায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মন্ডপ। প্রতিমাতেও সাবেকি রূপ।
Ranjan Chanda