দার্জিলিং:সমতলের পাশাপাশি ঢাকের আওয়াজে মেতেছে গোটা পাহাড়। ম্যাল রোডে জমজমাটি দুর্গাপুজো,পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। পাহাড়ের বুকে পছন্দের জায়গায় এসে দুর্গাপুজো দেখে মন যেন আনন্দে আত্মহারা। ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে এই পুজো প্রাঙ্গণ জুড়ে, চারিদিকে ঠান্ডা শীতল আবহাওয়ায় পাহাড়ের কোলে এই পুজোকে ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত সকলেই।
দার্জিলিং-এর ম্যাল রোড পর্যটকদের কাছে বরাবরই জনপ্রিয়, দূর দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত প্রচুর পর্যটক কিছুটা সময় কাটাতে ছুটে আসে দার্জিলিং এর এই ম্যাল রোডে। সেই অর্থেই বিগত সাত বছর থেকে পর্যটকদের শৈলশহর ঘোরার পাশাপাশি বাড়তি পাওনা হিসাবে ধুমধাম করে দুর্গাপূজোর আয়োজন করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই পাহাড়ের কোলে দুর্গাপুজোর স্বাদ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সকলেই।
আরও পড়ুন- সবুজ এই শাক ‘পাওয়ার হাউজ’! খেলেই কমে মানসিক চাপ, হৃদরোগ, সুগার নেমে যাবে নিমেষে!
এই প্রসঙ্গে সুদূর লন্ডন থেকে আশা এক পর্যটক জ্যাস বলেন এই প্রথমবার ভারতে এসেছি শৈলশহর খুব ভালোভাবে ঘুরলাম পাশাপাশি বাড়তি পাওনা হিসেবে এই উৎসব যেন মন ভাল করে দিল। সমস্ত নিয়ম রীতি মেনেই বিগত সাত বছর থেকে দার্জিলিংয়ের ম্যালরোডে এই দুর্গাপূজো হয়ে আসছে। ৯ দিনব্যাপী এই দুর্গাপূজোয় প্রত্যেক দিনই হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায় এই পুজো প্রাঙ্গনে।
এই প্রসঙ্গে এখানে ঘুরতে আসা পর্যটক শৈলী সাহা বলেন, এই প্রথমবার দার্জিলিঙে আসলাম সত্যিই এখানে এসে মন মুগ্ধ হয়ে গেল। এখানকার ঠান্ডা আবহাওয়ায় দুর্গাপূজার আনন্দ যেন এক বাড়তি পাওনা।” এই প্রসঙ্গে চৌরাস্তা দুর্গাপুজো কমিটির সভাপতি রবি গাঙ্গুলী বলেন, “দার্জিলিং ম্যাল বরাবরই পর্যটকদের ফিরে জমজমাট থাকে, সেই অর্থে তাদের উদ্দেশ্যেই এই দুর্গা পুজোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুজোর কয়টা দিন সকলে মিলে খুব আনন্দ হয় এর পাশাপাশি রোজ সকলের জন্য প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়।”
সুজয় ঘোষ