ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেয়েও খুন হতে হল বাবা সিদ্দিকিকে

Who Was Baba Siddique: ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেয়েও গুলিবিদ্ধ ! কে ছিলেন বাবা সিদ্দিকি? খুনের পিছনে কারণ কী?

মুম্বই: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে মুম্বইয়ে ৬৬ বছর বয়সি নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়। তাঁর বুকে এবং পেটে গুলি লেগেছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সিদ্দিকিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন– আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, তারপর কি ফের হাওয়া বদল? জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

বাবা সিদ্দিকিকে খুনে মুম্বইয়ের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার সকালে মুম্বই পুলিশের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম কর্নেল সিং এবং ধরমরাজ কাশ্যপ। এক জন উত্তরপ্রদেশ এবং অন্য জন হরিয়ানার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে দু’জনই স্বীকার করে নিয়েছে, যে তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য।

আরও পড়ুন– রতন টাটার ভাই জিমিকে চেনেন? দুই কামরার ফ্ল্যাটে মধ্যবিত্ত জীবনযাপন করেন,রাখেন না মোবাইলও

বাবা সিদ্দিকির জন্ম বিহারের পটনায় ৷ কিশোর বয়সেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন কিশোর বয়সে শুরু হয়েছিল যখন তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ছাত্র শাখা ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (NSUI)-তে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পরে, তিনি মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেটর হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯-এ টানা তিন মেয়াদে ভান্দ্রে পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং খাদ্য, শ্রম এবং এফডিএ প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টিতে যোগদানের সময় একটি বড় পরিবর্তনের পথ ধরেছিলেন। সিদ্দিকি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘কংগ্রেসে আমার অবস্থা এমন ছিল যে কীভাবে খাবারের স্বাদ বাড়াতে কারি পাতা ব্যবহার করা হয়। কংগ্রেস পার্টিতে আমার সঙ্গে এমন আচরণই করা হয়েছিল।” সিদ্দিকির ছেলে, জিশান, মুম্বইয়ের বান্দ্রা (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তবে পার্টি বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে অগাস্টে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সিদ্দিকি, ‘বান্দ্রা বয়’ নামেও পরিচিত, তাঁর গ্র্যান্ড ইফতার পার্টিগুলো দারুণ জমজমাট হত ৷ এবং সেখানে শাহরুখ, সলমনের মতো শীর্ষ বলিউড তারকারাও উপস্থিত থাকতেন ৷

মোট তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। সিদ্দিকির বুকে এবং পেটে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকেরা জানান, শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল সিদ্দিকির। সেই কারণে বুলেট বার করা গেলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রাত ১১.২৭ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।