আখরোট এমন এক শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুট, যা রোজ খেলে উপকার পাবেনই আপনি! কিন্তু পরিমাণে কতটা খাবেন এটা অনেকেই জানেন না, ফলে হিতে বিপরীত হয়।আমন্ড কিংবা কিশমিশের মতো চাইলে আখরোটও জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন। তবে বেশিরভাগ না ভেজানো বা শুকনোই খেয়ে থাকেন আখরোট।স্বাস্থ্যের জন্য নানা কারণে ভাল আখরোট। তবে ভীষণ ভাল মস্তিষ্কের জন্য। দেখতেও যে একেবারে মাথার ঘিলুর মতোই এই ফল! আখরোট মস্তিষ্ক সজাগ এবং সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। মগজে শান দিতে তাই রোজ খেতে পারেন এই বাদাম জাতীয় ফল।WEBMD এবং UCDavies-এর বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আখরোটে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা বহুদিন পর্যন্ত যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ত্বক এবং শরীরের চামড়ার ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে।চিকিৎসক Dany Paul Baby (MD)-র মতে, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করতেও আখরোটের বিকল্প নেই! সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে কোলেস্টেরলও। ব্লাড সুগারও বশে থাকে আখরোট খেলে।চিকিৎসক জানান, আখরোটে আছে বিপুল পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান। যেমন, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি। নিয়মিত আখরোট খেলে তাই বজায় থাকে সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।আখরোট খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। বয়সজনিত স্মৃতিভ্রষ্টতাও ধারেকাছে ঘেঁষে না। শিশুরা আখরোট খেলে যেমন বুদ্ধি বাড়ে, তেমনই বয়স্কদের মধ্যে ডিমেনশিয়া বা আলঝাইমার্স রোগের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আখরোট খেলে বহুদিন অবধি সচল থাকবে আপনার মাথা, সজাগ থাকবেন আপনিও। এতে ঝুঁকি কমবে জীবনে। আখরোট খালি পেটে খেতে হবে এমন কোনও নিয়ম নেই। দিনের যে কোনও সময় খেলেই মিলবে উপকার।তবে চিকিৎসক Dany জানান, দিনে ৪৫ গ্রাম বা ৫-৭টার বেশি একেবারেই খাবেন না আখরোট, এতে শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠতে করে শরীর।অন্যদিকে, আখরোট ম্যাঙ্গানিজ, তামা এবং ফসফরাস সহ বেশ কয়েকটি মিনারেল সমৃদ্ধ। এগুলিতে কিছু ভিটামিন বি ৬ রয়েছে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতার জন্য অত্যাবশ্যক।Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
