পাঁচমিশালি বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের? ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের ডিসিপি বললেন, ‘আমরা খতিয়ে দেখছি’ Gallery October 14, 2024 Bangla Digital Desk বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ড কী লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাজ? অভিনেতা সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই কী এনসিপি নেতাকে খুন করা হল? শনিবারের পর থেকেই এই প্রশ্নগুলো ঘুরেফিরে আসছে বারবার। এর মধ্যেই সলমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই বাবা সিদ্দিকিকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের ডিসিপি দত্ত নালাওয়াডে বলেছেন, “পোস্টের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’’ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিসের সামনে এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে তিন দুষ্কৃতী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই হত্যাকাণ্ডকে ভাড়াটে খুনির কাজ বলে মনে করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সিদ্দিকিকে খুনে ব্যবহৃত পিস্তল কুরিয়ারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে গণেশ উৎসবের সময় সিদ্দিকিকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সফল হয়নি আততায়ীরা। এর আগেই একাধিকবার সিদ্দিকির উপর হামলার চেষ্টা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির টোটা উদ্ধার হয়েছে। সিদ্দিকির শরীরে ৩টি গুলি লাগে। একটি গুলি লাগে তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির গায়ে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ধরমরাজ কাশ্যপ এবং কার্নাইল সিং দাবি করেছে, তারা কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের সদস্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরই সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অভিনেতার বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ। ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শ্যুটিংয়ের সময় রাজস্থানে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ উঠেছিল সলমন খানের বিরুদ্ধে। মামলা গড়ায় আদালতে। পাঁচ বছরের জেল হয় অভিনেতার। পরে অবশ্য তিনি জামিন পেয়ে যান। কৃষ্ণসার হরিণকে পবিত্র বলে মনে করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়। এই কারনেই সলমনের উপর রাগ লরেন্স বিষ্ণোইয়ের। ২০২৩ সালে তিহাড় জেল থেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরার সামনে তিনি বলেছিলেন, সলমনকে খুন করাই তাঁর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। বিষ্ণোইয়ের কথায়, “আমার টাকা চাই না। শুধু চাই তিনি আমাদের সম্প্রদায়ের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইবেন। কৃষ্ণসার শিকার করে পুরো সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু তিনি ক্ষমা চাইতে রাজি নন।’’