লাইফস্টাইল Winter Tips: শীতকালে ফ্রিজ ‘কোন’ তাপমাত্রায় রাখবেন…? এখনই জানা মাস্ট! ভুল সেটিং বারোটা বাজাবে রেফ্রিজারেটরের! পচবে টাটকা খাবার Gallery October 15, 2024 Bangla Digital Desk অক্টোবর মাস চলছে এবং ইতিমধ্যে সকালে হালকা ঠান্ডা ভাব অনুভূত হচ্ছে। এখন রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমানোর সময়ও হালকা ঠান্ডা লাগে। কলকাতায় এই বছর এখনও শীতের ভাব না মালুম হলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে এই শীত আর শুষ্ক দিন এল বলে। দেশের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই এখন তাদের বাড়ির এয়ার কন্ডিশনারটির ব্যবহার কমিয়ে ফেলেছেন বা এসি চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন। একইভাবে মানুষ ফ্রিজের জল খাওয়াও বন্ধ করে দেয় এইসময়, কারণ আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ ফ্রিজও কম ব্যবহার করেন। কখনও কখনও আমরা ফ্রিজ চালু করি এবং তারপর কয়েক ঘণ্টার জন্য এটি বন্ধ করি। কিন্তু আদতে আপনার এটা করার দরকার নেই। আপনি চাইলে সীমিত তাপমাত্রায় ফ্রিজ চালাতে পারেন সারা শীত জুড়েই। শীতকালে কোন তাপমাত্রায় রেফ্রিজারেটর চালানো উচিত?আপনি যদি ইতিমধ্যে বরফ সংরক্ষণ করা বা ফ্রিজে জলের বোতল রাখা বন্ধ করে দিয়ে থাকেন, তবে আপনি এটিকে কম তাপমাত্রায়ও সেট করতে পারেন। কারণ বরফ ও ঠান্ডা জল তৈরি করতে ফ্রিজের তাপমাত্রার বোতাম মাঝারি বা উঁচুতে সেট করতে হয়। এছাড়াও, গ্রীষ্ম এবং শীত কাল অনুযায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রা সেট করার একটি বিকল্প রয়েছে। শীতকালে, আপনাকে কেবল দুধ, শাকসবজি, ফল এবং রান্না করা খাবার তাজা রাখতে হবে, এর জন্য আপনি কম তাপমাত্রায়ও কাজ করতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ বিলও কমে যাবে। শীতকালে রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা খুব বেশি বা খুব কম না রেখে মাঝারি টেম্পারেচারে সেট করুন। এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডার সময় রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে। এই তাপমাত্রায় রাখলে ফ্রিজের কোনও খাবার বা পানীয় নষ্ট হবে না এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য তাজা থাকবে। বিদ্যুৎ বিলও কমবে। তবে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ফ্রিজ বন্ধ করা ভাল বিকল্প নয়। এটি এটির ক্ষতিও করতে পারে। তাই এই মরশুমে ফ্রিজটি কম তাপমাত্রায় সেট করে এটি ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া ভাল। রেফ্রিজারেটরের লিটার, ওয়াট এবং সাইজ অনুযায়ী রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা সামঞ্জস্য করতে হবে। এ জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নিতে পারেন। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।