দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আরাধনা করা হয়। রাত পোহালেই চারিদিকে উচ্চারিত হবে মা লক্ষ্মীর মন্ত্র। শুরু হবে দেবীর আরাধনা বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে। বাঙালির লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে নাড়ু একটি ঐতিহ্য জড়িত আছে।
এক সময় মা-ঠাকুমারা নিজের হাতে বানাতেন এই পদ। কিন্তু, সময় বদলেছে। এখন রমণীরা অফিস ও বাড়ি এক সঙ্গে সামলে চলেছেন। সে কারণে বাড়িতে নাড়ু বানানোর সময় নেই। এখন সকলেরই ভরসা মিষ্টির দোকানের উপরেই। নারকেল কুরিয়ে, আঁচে চড়িয়ে, গোল্লা পাকিয়ে নাড়ু তৈরির ঝক্কিও কম নয়।
কিন্তু চিনি বা গুড় দিয়ে তৈরি নারকেলের নাড়ু ছাড়া বাঙালির লক্ষ্মীপুজো হয় নাকি। তায় এখন প্যাকেটবন্দি নারকেল নাড়ুর চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে। প্যাকেট করা নারকেলের নাড়ু বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে। এখন আর সেভাবে আর কেউ বাড়িতে নাড়ু বানাতে চান না। সময়ও নেই। সে জন্যই নাড়ু তৈরি করে প্যাকেটে ভরে সেই নাড়ুই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে।
এ প্রসঙ্গে এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে নাড়ুর চাহিদার জোগান দিতে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই নাড়ু তৈরি করে প্যাকেটবন্দি করে বেখেছেন। আমাদের এলাকার বিভিন্ন মহিলাদের ডেলি রোজের পয়সা দিয়ে নাড়ু তৈরি করা হচ্ছে। আর সেই নাড়ুই আমরা এলাকার বিভিন্ন দোকানে দোকানে খুচরো ও পাইকারি ভাবে বিক্রি করি। এখান থেকে নাড়ু চলে যায় কলকাতার বিভিন্ন বাজারে। আর এভাবেই তৈরি হচ্ছে নারকেল নাড়ু তিলের নাড়ু, লাড্ডু আরওবিভিন্ন ধরনের প্রসাদ।
সুমন সাহা