পশ্চিম মেদিনীপুর: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই তেরো পার্বণের মধ্যে যেমন অন্যতম দেবী দুর্গার পুজো। তেমনই দেবী মহামায়ার পতিলোকে গমনের পর আপামর বাঙালি মেতে উঠেন ধনদেবী লক্ষ্মীর আরাধনায়।
বাঙালির প্রতিটি ঘরে আড়ম্বর সহকারে পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মী। লক্ষ্মীপুজোর প্রাক্কালে বাজারে ভিড় সাধারণ মানুষের। একদিকে যেমন পুজোর নানা সামগ্রী কিনছেন তাঁরা, তেমনই বিক্রি হচ্ছে নানান সাজসজ্জার জিনিসও, বিক্রি হচ্ছে প্রতিমাও।
আরও পড়ুন: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি কলকাতা-সহ বাংলাজুড়ে, কোথায় কোথায় বেশি বৃষ্টি? আবহাওয়ার বড় খবর
তবে মনে করা হয়, দেবী লক্ষ্মী যেমন ধনদেবী, তেমনি লক্ষ্মীর আগমনে বাড়িতে শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠে। তবে বর্তমান দিনে শহর কিংবা শহরকেন্দ্রিক এলাকায় ধানের চাষ হয় না। পুজোর সাজ সরঞ্জামে লাগে ধানের গাছ বা ধানঘেরা। স্বাভাবিক ভাবে পুজোর প্রাক্কালে বাজারে বেশ বিক্রি হচ্ছে ধানঘেরা ও ধানের গাছ।
তবে জানেন কি, কী এই ধানঘেরা? মূলত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বাড়ির মহিলারা এই ধানঘেরা তৈরি করতেন। এটি দেখতে কিছুটা অলংকারের মতো। মূলত ধান শিষ দিয়ে তাকে বিভিন্ন ভাবে বাঁকিয়ে প্রস্তুত করা হয় এই ধানঘেরা। যা ধনদেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় কাজে লাগে। যেহেতু পুজোর আয়োজনে কাজে লাগে, তাই বাজারে বিক্রির পরিমাণও বেশি।
আরও পড়ুন: ৯৯% মানুষ এই উত্তর দিতে পারেননি, আপনি কি জানেন কোন ফল নিয়ে বিমানে উঠলে জরিমানা হতে পারে?
প্রসঙ্গত সুপারি, সালু, ফুলের মতো ধানঘেরা ও অত্যাবশ্যকীয় একটি পুজোর উপকরণ। স্বাভাবিক ভাবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, ১৫ টাকা প্রতি পিস। শহর শহরতলি এলাকার মানুষ যারা এই ধরনের জিনিস বানিয়ে দেবীর আয়োজন করতে পারেন না, তাঁরা কিনছেন ক্রেতাদের থেকে। স্বাভাবিক ভাবে পুজোর একদম প্রাক মুহূর্তে ভিড় বাজারে। অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি বেশ ভাল বিক্রি হচ্ছে ধানঘেরা ও ধানের গাছ।
রঞ্জন চন্দ