নদিয়া: জলঙ্গি নদীতে হঠাৎই দেখা মিলছে ইলিশের। এমনই দাবি মৎস্যজীবীদের। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে এক মৎস্যজীবী জলঙ্গি নদীতে জাল ফেলার পর সেই জালে উঠে এসেছে একটি হুবহু ইলিশ মাছের মতো দেখতে একটি মাছ।
যদিও সেটি আকারে ছোট। তবে মৎজীবীদের অনুমান ওটি ইলিশ মাছের বাচ্চা। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই খুশি জলঙ্গি তীরবর্তী এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া সমস্ত মৎস্যজীবীরাও। উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরেই লাগাতার হারে জলঙ্গি নদীর দূষণ বাড়ার ফলে পরিবেশকর্মী থেকে শুরু করে মৎস্যজীবী সকলেই একত্রিত হয়ে জলঙ্গি নদী দূষণমুক্ত করার একাধিক পন্থা অবলম্বন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা আকর্ষণীয় পুরুষ কারা? ভারত থেকে নাম নেই হৃত্বিক-রণবীরের! তালিকায় কে ঢুকল জানেন?
এমনও দেখা গিয়েছে যে নদীর জল অত্যাধিক মাত্রায় দূষিত হয়ে নদীর প্রায় সমস্ত মাছ মরে গিয়ে ভেসে উঠেছিল। এই দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিলেন বিভিন্ন পরিবেশকর্মীরা। তবে এবার খুশির খবর, লাগাতার পরিবেশ কর্মীদের কর্মসূচির পরে হয়তো সত্যিই জলঙ্গি নদী ফিরে পেল তার পুরনো চেহারা। অর্থাৎ জলঙ্গি নদী অনেকখানি দূষণমুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে একাধিক পরিবেশকর্মী ও ভূতাত্ত্বিকেরা।
আরও পড়ুন: চোখেও স্ট্রোক হয়, কখনও শুনেছেন? দৃষ্টিশক্তি হারানোর ভয় থেকে বাঁচুন, উপসর্গগুলি চিনুন
এ বিষয়ে শিক্ষক তথা পরিবেশ কর্মী ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের কাছে এটি খুবই আশাব্যঞ্জক যে দীর্ঘকাল আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখেছি এই জলঙ্গি নদীতেই আমরা গাঙ্গেয় ডলফিন অর্থাৎ শুশুক। যেটি আজকে দেখা মেলে না। কিন্তু এই জলঙ্গি নদী যে অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে এবং যেই স্থানে এই জলঙ্গি নদী পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযোগস্থল রয়েছে তা ক্রমশ ধ্বংস করা হয়েছে এবং এতে জলঙ্গি নদীর বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়েছে। তবে এই ভিডিওর মাধ্যমে যে আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে যথেষ্টই আশাবাদী এবং এর পাশাপাশি এ বছরের লাগাতার যথেষ্ট পরিমাণে বৃষ্টিও এতে সাহায্য করেছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে লাগাতার সাধারণ মানুষের চেষ্টার ফলে জলঙ্গি নদী ধীরে ধীরে তার পুনরাবস্থায় ফিরে আসছে। আর সেই কারণেই হয়তো ইলিশ থেকে শুরু করে বাশপাতা মাছ বা আগামী দিনে আশা করা যাচ্ছে যদি জলঙ্গি নদী তার আগের অবস্থায় সম্পূর্ণভাবে ফিরে আসতে পারে তাহলে হয়তো গাঙ্গেয় ডলফিন দেখা মিলতে পারে। এই খবর ছড়ানো মাত্রই কিছুটা হলেও খুশি ও স্বস্তি পেয়েছেন পরিবেশকর্মী থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীরা।’
Mainak Debnath