মাটির প্রদীপ

Jalpaiguri News: আলোর উৎসবেই কদর বাড়ে ওদের! চিনা আলোর দাপট রুখে আজও অমলিন মাটির প্রদীপ

জলপাইগুড়ি: আসন্ন আলোর উৎসবে মাতবে কে? টুনি লাইট, নাকি হাতে বানানো মাটির প্রদীপ? দুর্গাপূজা, লক্ষ্মী পূজার পর বাঙালি দিন গুনছেন দীপাবলীর আলোর উৎসবের। এই আলোর উৎসবকে জলপাইগুড়ির বাজারে ছেয়ে গিয়েছে রকমারি লাইটের সম্ভার।

সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করছি চিনা লাইট। তবে পাল্লা দিয়ে টক্কর দিচ্ছে বানানো মাঠের প্রদীপও। আলুর উৎসবে সেজে উঠতে এখন থেকেই লাইট কেনার ধুম পড়েছে জলপাইগুড়ির বাজারে। তবে চাকা ঘুরিয়ে হাতে বানানো মাঠের প্রদীপের সঙ্গে চিনা লাইটের বিক্রি হচ্ছে টক্কর দিয়ে।

একেবারে অবিকল মাটির প্রদীপের মতোই দেখতে চিনা লাইটের বিক্রি দেদার। সহজলভ্য আর তেল সলতে ছাড়াই চিনা লাইট অনেকক্ষণ জ্বলে বলে অনেকের কাছেই চিনা লাইটের চাহিদা বেশি।

তবে মাটির ঐতিহ্যবাহী প্রদীপের চাহিদাও কম নয়। ভিড় চোখে পড়ছে মাটির প্রদীপের দোকানগুলিতেও। কালীপুজোর আগে জলপাইগুড়ির বাজারে ঘুরে চোখে পড়ে পুজোর নানান সরঞ্জামসহ রকমারি আলোর পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রেতারা।

এই চিনা লাইট এবং হাতে তৈরি প্রদীপের বাজার দর কেমন যাচ্ছে জলপাইগুড়িতে? আসন্ন দীপাবলি উৎসবের আগে পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা দিনরাত এক করে কাজ করছেন। বিভিন্ন ধরনের মাটির প্রদীপ, ঘটি ও কালীপূজার সরঞ্জাম তৈরিতে তাঁরা ব্যস্ত।

মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন, এই সময়টায় তাদের চাহিদা বেড়ে যায় এবং তারা দিনরাত এক করে কাজ করেন। এ বছর প্রদীপের দাম ১৫টি প্রদীপ ১০ টাকায় বিক্রি করছেন মৃৎশিল্পীরা। ঘটি ও অন্যান্য সরঞ্জামের দামও ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে রয়েছে।

অন্যদিকে, চিনা লাইট বিকোচ্ছে ২০-২৫ টাকা দরে। মাঠের প্রদীপ হোক বা চিনা লাইট দু’ইয়েরই দাম রয়েছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যেই। তাই মৃৎশিল্পীরা আশাবাদী, এই বছর ভালবিক্রি হবে এবং তারা লাভবান হবেন। আপাতত আলোর উৎসবে সেজে উঠতে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।
সুরজিৎ দে