বাইক পার করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা চালকের।

West Burdwan News : ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে পড়ুয়ারা! রাস্তা আছে দেখে বোঝার উপায় নেই

কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : রাস্তা যে আছে, দেখে বোঝার উপায় নেই। অথচ যাতায়াত করতে হলে এই রাস্তা উপেক্ষা করারও কোনও উপায় নেই। তাই অগত্যা বাধ্য হয়ে প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হয়। বিগত কয়েক মাসে একাধিক দুর্ঘটনা হয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে নিত্য যাত্রী, দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকে। এমনকি স্কুল পড়ুয়া বোঝাই টোটো উল্টে গিয়েছে এই রাস্তায়।

পরিস্থিতি এমন যে ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে পড়ুয়ারা। অভিভাবকরা এমন খারাপ রাস্তা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের আর বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাইছেন না। পড়ুয়ারাও রীতিমতএই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছে। তাই পড়াশোনা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে পড়ুয়াদের। কিন্তু এমনটা চলতে থাকলেই বা হবে কি করে? অথচ রাস্তার হাল না ফিরলে প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।

আরও পড়ুন : অন্য গঠনশৈলীর জলাধার, সাজিয়ে তোলা হোক পর্যটকদের জন্য! দাবি রনডিহাবাসীর

কাঁকসার রেলপার থেকে পলাশডাঙ্গা যাওয়ার রাস্তা। এই রাস্তায় একটি কালভার্ট আগে ভগ্ন অবস্থায় ছিল। সেটিকে নতুন করে তৈরি করা হয়। কিন্তু তারপর রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। রাস্তার এমন দৈনদশা হয়েছে যে হেঁটে চলাচল করা পর্যন্ত দায় হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের কাছে। বাইক চালক, সাইকেল চালকদের রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে। কিন্তু রাস্তা মেরামতির দিকে কারোর হুঁশ নেই বলেই অভিযোগ।

আরও পড়ুন : শীতের গন্ধ নিয়ে হাজির ওঁরা! দু সপ্তাহ পরেই বাঙালির পাতে উঠবে টাটকা খেজুর গুড়

স্থানীয়রা বলছেন, এই বিষয়ে প্রশাসনের একাধিক মহলে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা মেরামতির জন্য এখনও পর্যন্ত সেইভাবে কোনওরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু রাস্তার বর্তমানে যা অবস্থা, তাতে করে স্থানীয়রা যাতায়াত পর্যন্ত করতে পারছে না। তাই দ্রুত রাস্তা মেরামত করার দাবি তুলেছেন তারা। বিশেষ করে ছোট ছোট পড়ুয়ারা আবার যাতে বিদ্যালয়ে যেতে পারে, পড়াশোনা করতে পারে, তার জন্য রাস্তা মেরামতের আবেদন জানিয়েছেন তারা।

নয়ন ঘোষ