আলিপুরদুয়ার: চা বাগানে জমির পাট্টা ইস্যু ছিল আলিপুরদুয়ার লোকসভা নির্বাচনের হাতিয়ার। শাসক দলের প্রার্থী যেখানে পাট্টাকে হাতিয়ার করে প্রচার করছে সেখানেই বিজেপি শিবির বলছেন বাগান শ্রমিকদের অধিকারের কথা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া জমির পাট্টাকে হাতিয়ার করে প্রচার করছে তৃণমূল। আলিপুরদুয়ারে লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে গেলেও, সেখানে ব্যবধান অনেক কমাতে পেরেছিল তারা।
এরই মধ্যে পুনরায় হতে চলেছে মাদারিহাটে বিধানসভা ভোট।উপনির্বাচনেও চা-বাগানের পাট্টাকে হাতিয়ার করবে শাসক দল। অন্য দিকে, তৃণমূলের এই প্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচার বিজেপির। চা বলয়য়ের ভোটই তৃণমূল ও বিজেপি দু দলেরই অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আলিপুরদুয়ার লোকসভায় রয়েছে ১০০টির ওপর চা বাগান। ভোটার রয়েছে ৭ লক্ষ।
আরও পড়ুন: বলুন তো বাথরুম এবং ওয়াশরুমের মধ্যে পার্থক্য কী? এক নয় কিন্ত মোটেই…৯৯%ই ভুল উত্তর দিয়েছেন
যেখানে চা বলয়ে গত লোকসভা ও বিধানসভার জয়ের ধারা বজায় রাখছে বিজেপি শিবির। সেখানে গত দু’টি নির্বাচনে হারের পর রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি জমির পাট্টা-সহ নানান সুবিধা দিয়েছে।এবারে সেটাই নিজেদের প্রচারের মাধ্যমে তুলে ধরছে তৃণমূল। অন্য দিকে, প্রচারে এসে তৃণমূলের এই পাট্টাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি।
তাঁদের স্পষ্ট কথা, পাট্টা দিয়ে চা শ্রমিকদের অধিকার পাইয়ে দেওয়া যায় না। এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ার সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘এই পাট্টার মাধ্যমে শ্রমিকরা নিজেদের জমির অধিকার পাচ্ছেন না । আমাদের দাবি ছিল তারা যে জমিতে থাকে তার মালিকানা তাদের দিতে হবে। যা এই পাট্টার মাধ্যমে তাঁরা তা পাবেন না। এটা লোক দেখানো ছাড়া কিছুই না। এ নিয়ে আমরা আগামীতে আন্দোলনে নামব।’
অন্যদিকে, এ নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ারের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, ‘অসম , ত্রিপুরার মতো একাধিক রাজ্যে তো তাদের সরকার রয়েছে, তারা কী করছে সেখানে শ্রমিকদের জন্য। বর্তমান রাজ্য সরকার ছাড়া কেউই শ্রমিকদের কথা ভাবেন না।” বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুনগান করেন তৃণমূল নেতারা।
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, জমির পাট্টা, চা সুন্দরি প্রকল্পের ঘর তৈরির বিষয়গুলি তুলে ধরার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে চা শ্রমিকদের জন্য কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে প্রচার করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯’টি চা বাগান রয়েছে। ওই বিধানসভার ভোটের ফল নির্ভর করে চা শ্রমিকদের ওপরই। ওই বিধানসভা আসনে কোনওবারই জিততে পারেনি তৃণমূল। লোকসভা ভোটের মুখে তাই ওই বিধানসভা এলাকায় ভোটব্যাংক বাড়াতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল।