কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : একটা সময় ছিল যখন বিকেল হলেই খেলার মাঠে ভিড় হত যুবকদের। কেউ মেতে উঠতপায়ে পায়ের যুদ্ধে কেউ আবার ক্রিকেটে মেতে থাকত। কিন্তু ধীরে ধীরে খেলার মাঠ খালি হয়েছে। আদিবাসী যুব সম্প্রদায়ের ফুটবলের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। অনেকেই ফুটবল নিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়েছেন। কিন্তু তাদের মধ্যেও ধীরে ধীরে কমছে উৎসাহ।
তবে আদিবাসী যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ফুটবলের প্রতি সেই উৎসাহ, আগ্রহ ফিরিয়ে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে দেখা গেল কাঁকসার ঝিনুক গড় এলাকায়। সেখানে আদিবাসী যুবকদের নিয়ে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত আদিবাসী যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ফুটবলের প্রতি সেই পুরানো প্রেম উৎসাহ ফিরিয়ে দিতে এই উদ্যোগ। পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তাদের মূল্যায়ন হয়েছে।
ঝিনুকগড়ের এক বাসিন্দা তথা ফুটবল ক্লাবের সদস্য বলছেন, বিগত প্রায় ৩০ বছর ধরে এই গ্রামে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যদিও চলতি বছরে সেই আয়োজনে অনেকটা বিলম্ব হয়েছে। তবে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দেবদাস বক্সীর উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে আদিবাসী যুব সম্প্রদায়ের মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করেছিল।
আরও পড়ুন : শীতের গন্ধ নিয়ে হাজির ওঁরা! দু সপ্তাহ পরেই বাঙালির পাতে উঠবে টাটকা খেজুর গুড়
এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যুবকদের মধ্যে ফের সেই পুরানো উৎসাহ দেখা গিয়েছে। ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন আদিবাসী যুবকরা। এই প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে খেলার মাঠে তাদের যেমন উদ্যমী হতে দেখা গিয়েছে, তেমনভাবেই আবার তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ঝিনুকগড়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় আদিবাসী যুবকদের ফুটবলের প্রতি সেই ভালোবাসা আবার ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
নয়ন ঘোষ