পশ্চিম মেদিনীপুর, ব্যবসা-বাণিজ্য Earn Huge Money: শুধুই ধান চাষের দিন শেষ, এবার ধানি জমিতেই অল্প খরচে মালামাল হয়ে যাচ্ছেন চাষিরা, ফলের বাড়বাড়ন্ত ফলন Gallery October 21, 2024 Bangla Digital Desk : বর্তমান দিনে ধান চাষ করে মিলছে না লাভজনক দাম। বিভিন্ন জায়গায় বিকল্প চাষ করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতার দিশা দেখছেন বহু চাষি। ধান চাষের পাশাপাশি একই জমিতে এবার বিকল্প চাষ হিসেবে এই চাষ করে মালামাল হচ্ছেন কৃষকেরা। স্বল্প খরচে এবং পরিচর্যায় একটা মরশুমে ভাল লাভ জুটছে তাদের। স্বাভাবিকভাবে বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে এই চাষ করে মিলছে লাভের দিশা।পুকুরের পাশাপাশি ধান চাষের জমিতে হচ্ছে এই চাষ। সামান্য কয়েক হাজার টাকা খরচ করলে মিলছে দ্বিগুণ। পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকায় ধান চাষের পাশাপাশি ধান চাষের জমিতে এবং পুকুরে পানিফল চাষ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন একাধিক কৃষক। ধান চাষের পাশাপাশি জুটছে বাড়তি লাভ। বাজারে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে। দুর্গাপুজোর সময় থেকে শুরু হয়েছে এই পানিফল বিক্রি। প্রায় তিন মাস ধরে বাজারে বিকোবে এই ফল। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার একামলিপুর, কুহুড়া, সহ একাধিক এলাকার চাষিরা ধান চাষের জমিতে ফলাচ্ছেন পানিফল। জানা গিয়েছে, এই পানিফল মূলত দুই ধরনের একটি সবুজ এবং অন্যটি লালাভ। মিষ্টি এবং সুস্বাদু এই ফল ফলাতে বিঘা প্রতি খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু সেই এক বিঘা জমিতে লাভের অংক দাঁড়ায় প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা। কৃষকদের বক্তব্য, এক বিঘা জমিতে চারা লাগবে ১২০ টি। যার মূল্য ৩ থেকে ৪ টাকা প্রতি পিস। এক বিঘা পানিফল চাষ করতে সারের প্রয়োজন ১০ কেজি। এছাড়াও সামান্য পরিচর্যায় প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ফল পাওয়া যায়। বর্তমানে ধান চাষের জমিতে, লাঙল করে জল ভর্তি করে চারা লাগাতে হয় আষাঢ় মাসে। আশ্বিন মাসের মাঝ বরাবর থেকে অগ্রহায়ন, পৌষ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। পাইকারি দরে বিক্রি হয় ওড়িশা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে। ধান চাষের পাশাপাশি ধান চাষের জমিতেই সামান্য খরচে এবং সামান্য মালামাল হতে পারবেন আপনিও। Input- Ranjan Chanda