আলিপুরদুয়ার: কম খরচে বেশি আয় করার জন্য ভুট্টা চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বাড়ির বাগান বা সুপরি বাগানের মাঝে হয় এই চাষ। রাজ্যে দিন প্রতিদিন বৃষ্টির পরিমাণ কমছে। ফলে বৃষ্টির জলে পুষ্ট চাষাবাদের পরিমাণও ক্রমশ কমে আসছে।এই পরিস্থিতিতে কম জল ব্যবহার করা যায় এমন চাষের দিকে এখন ঝুঁকছেন কৃষকরা।
এক্ষেত্রে ভুট্টা চাষ লাভজনক ও তুলনামূলক কম পরিশ্রমে চাষ করা যায় বলে কৃষকদের সূত্রে জানা যায়। মোটামুটি সারা বছর ভুট্টার চাষ করা যায়। তবে এই চাষের মরশুমকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।কালচিনির প্রি-খারিপ অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে এই ভুট্টা বীজ বপন করা হয়।
শিবা সোরেন নামের এক চাষী ভুট্টা বীজ বপন করেন।আধ বিঘা জমিতে তিনি ৩০ টি ভুট্টা গাছের বীজ বপন করেছেন। গাছগুলি বড় হয়েছে। শিবা সোরেন জানান, “ভুট্টা চাষে জমিতে তিনবার সেচ দিতে হয়।কোনও ইউরিয়া সার ব্যবহার করছি না। গোবর সার ব্যবহার করছি। স্ত্রী ফুল ফুটলে অর্থাৎ মোচাতে দানা দেখা গেলে আরও একবার সেচ দেব।”
দোআঁশ মাটিতে হয় ভুট্টা চাষ। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোঁড়ায় যেন জল না লাগে কিংবা জমে না থাকে। তাহলে পচন ধরতে পারে ভুট্টা গাছে।
Annanya Dey