রানি মা এর ছবি

Jagadhatri Puja 2024: চন্দননগরে সর্বোচ্চ জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ‘রানি মা’, মায়ের রূপ দেখে ‘আঁখি না ফেরে’, এই প্রতিমার উচ্চতা জানেন

হুগলি: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য ব্যাপী। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন তারপরেই আলোর শহর চন্দননগর সেজে উঠবে তার সব থেকে বড় উৎসবে। সর্ববৃহৎ উৎসব যাকে কেন্দ্র করে অর্থাৎ দেবী হৈমন্তিকা কার সর্ববৃহৎ প্রতিমা চন্দননগরের যে পূজা উদ্যোক্তারা করে আসছেন তা পরিচিত ‘রানি মা’ রূপে। চন্দননগর শিব মন্দির তেমাথা সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো সবাই দেখতে ভিড় করেন রানি মায়ের অপরূপ রূপের শোভা দেখার জন্য।

বলা হয় চন্দননগরের সবথেকে বড় ঠাকুর হলেও রানিমা। উচ্চতায় প্রায় ৩৫ ফুট এই প্রতিমা। তবে ৮০ বছরের পুরাতন এই পুজো কিভাবে রানী মা নাম পেল তার পেছনেও রয়েছে এক কথিত কাহিনী। জনশ্রুতি রয়েছে, এই পুজো শুরু হয়েছিল পরাধীন ভারতের সময়কালে। অন্যদিকে সেই সময় চন্দননগরের উপনিবেশ গড়েছিল ফরাসিরা। তৎকালীন সময়ে চন্দননগরের সমস্ত প্রতিমা হতো সাদা ডাকের সাজের। কিন্তু একমাত্র তেমাথা শিব মন্দিরের পুজোয় ঠাকুরকে সাজানো হতো একেবারে রাজরানীর বেশে। সোনালী কাজের ঠাকুরের সাজের জন্য একেবারে রাজরানীর রূপে দেখতে লাগতো প্রতিমাকে। সেই থেকেই প্রচলিত হয়েছে রাণী মা নামটি। তারপর থেকেই প্রতিবছর বহু সংখ্যক মানুষের মূর্তি রাখার জন্য।

আরও পড়ুন – South 24 Parganas News: মিনি ফুটবল তো কী হয়েছে, পুরস্কার ব্যাপক বড়, লক্ষ টাকার বেশি পুরস্কার

এ বিষয়ে পুজো উদ্যোক্তারা জানান, চন্দননগরের সবথেকে বড় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তৈরি হয় তাদের। লক্ষ্মী পুজো থেকে শুরু হয়েছে সেই প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমা এত বৃহৎ আকৃতির হয় যে শুধু খড় মাটি নয় সঙ্গে লোহার স্ট্রাকচারও দিতে হয় প্রতিমা তৈরির জন্য। প্রায় ৩৫ মণ খড় ও ১০০০ কেজি, মাটি দিয়ে তৈরি হয় তাদের প্রতিমা। সুবিশাল উঁচু এই প্রতিমাকে দেখতে গেলে মাথা উঁচু করে দেখতে হয়। প্রতি বছরের মতন রীতিনীতি মেনে পুজো হয়ে আসছে শিব মন্দির তলাতে মাথার জগদ্ধাত্রী পুজো। পাশেই রয়েছে বুড়ো শিবের মন্দির, জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে তারা শিবের আরাধনা করেন। তারপরে পুজো হয় চন্দননগরের রানি মায়ের।

Rahee Halder