ঝাড়গ্রাম: বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী দক্ষিণবঙ্গে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় “দানা”। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশাপাশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলাতেও। ঘূর্ণিঝড় দানাকে সামনে রেখে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বনদফতর, স্বাস্থ্য দফতর, কৃষি দফতর, সেচ , বিদ্যুৎ দফতর, পৌরসভা-সহ সমস্ত দফতরকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করা হয়।
দানা মোকাবিলা করার জন্য ঝাড়গ্রামের খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। ঝাড়গ্রামের আটটি ব্লক রয়েছে ৮টি ব্লক প্রশাসনকেই সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রামে তেমন একটা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় না তবে ঝড়ের দাপট থাকে। ঝড়ের প্রভাবে বহু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ পরিষেবা। দ্রুত রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য বেশি সংখ্যক গাছ কাটিং টিম রেডি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুতের সংযোগ পুনঃস্থাপন করা। এছাড়াও পানীয় জলের সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক রাখা যায় সেই বিষয়েও নজর দেওয়া হয়েছে।
Cyclone Dana(ঘূর্ণিঝড় দানা) Live Updates
ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগারওয়াল বলেন, “ঘূর্ণিঝড় দানা-কে সামনে রেখে সমস্ত দফতর-কে নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। পরিষেবা সচল রাখার জন্য সমস্ত দফতর সক্রিয় থাকছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় এই এলাকায় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে তাই দ্রুত রাস্তা পরিষ্কার এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক রাখতে বেশি সংখ্যক গাছ কাটিং টিমের রেডি করা হয়েছে। এবং পুরো বিষয়ের উপর প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে।”
অনেক জায়গায় ধান পেকে রয়েছে। কিছু জায়গায় এখনও ধান পাকতে বাকি রয়েছে। কিন্তু মাঠে ভরে রয়েছে ধান। আর দানা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সবথেকে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছে ধান চাষিরা। ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে ধানের।
বুদ্ধদেব বেরা