পশ্চিম মেদিনীপুর: ইয়াস, আমফান, রেমাল সহ একাধিক ঝড়ের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। মূলত বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আঘাত হানে উপকূলীয় এলাকায়। বরাবরই বিভিন্ন ধরনের ঝড়ের উৎপত্তি হলে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ওড়িশা সংলগ্ন এলাকায় বাড়তি নজরদারি থাকে প্রশাসনের। শুধু তাই নয়, রাজ্যের অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় নজরদারি রেখেছে প্রশাসন। তবে শক্তির সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা।
Cyclone Dana(ঘূর্ণিঝড় দানা) Live Updates
ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে একাধিক জেলাকে সাবধান ও সচেতন করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বালেশ্বরের কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকাতে ল্যান্ডফল হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের। সেক্ষেত্রে বাংলার পার্শ্ববর্তী জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুর। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয়, তার দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে জেলা প্রশাসন।
বালেশ্বররের পার্শ্ববর্তী এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন। মূলত এই প্রান্তিক এলাকায় ঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রচুর। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে বৈঠক সারা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার। দাঁতন ১ বিডিও অফিসে হয়েছে বৈঠক। উপস্থিত ছিল দাঁতন ১ও ২, নারায়ণগড়, মোহনপুর, কেশিয়াড়ি ব্লক প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক-সহ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ছিলেন ফায়ার ব্রিগেড, বিদ্যুৎ দফতর ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরাও, ছিল স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুনঃ এই মুহূর্তে ‘সিস্টেম’ সাগরের কোথায়? কত কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে সাইক্লোন ডানা? বাংলার আবহাওয়ার আপডেট
মূলত পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে নিম্নচাপের জেরে আসতে চলেছে ঘুর্ণিঝড় দানা। তার সতর্কতায় ছিল এদিনের বৈঠক। মঙ্গলবার বৈঠক থেকে জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদরি ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা, ত্রাণ শিবির ঠিক রাখা ও গর্ভবতী ও প্রসূতিদের অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও মানুষকে ত্রাণ শিবিরে দ্রুত আনার পরামর্শ দিয়েছেন। উপযুক্ত জল, খাওয়ার, মেডিক্যাল টিম, চিকিৎসক, নার্সদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দাঁতনে মজুত করা হয়েছে এনডিআরএফ টিম। বুধবার থেকেই তারা একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘন্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা। বুধবার বিকেল থেকেই দানার প্রভাবে শুরু হবে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মাঝামাঝি সময় হতে পারে ল্যান্ডফল। স্বাভাবিকভাবে সীমানা এলাকায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
রঞ্জন চন্দ