Tag Archives: NDRF

Murshidabad News: টানা বর্ষণে ফুঁসছে দুই নদী, বাঁধ ভেঙে প্লাবিত খড়গ্রাম এবং বড়ঞা-সহ একাধিক গ্রাম! আতঙ্কিত এলাকার মানুষ

মুর্শিদাবাদ: চারদিন ধরে টানা লাগাতার বর্ষণের জের, আর তার ফলেই  কুয়ে নদী ও দ্বারকা নদীর জলে প্লাবিত হল দু’টি ব্লকের একাধিক গ্রাম। প্রবল বর্ষণে বাঁধ ভেঙে ধীরে ধীরে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে।

নদীর জলে প্লাবিত হয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত জাওহারি ভড়ঞা, কয়থা সুন্দরপুর, মজলিশপুর, বৈদ্যনাথপুর সহ একাধিক গ্রাম । যার কারণে বন্ধ হয়ে যায় বহু রাস্তা।  রাস্তা বন্ধ থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।  অন্যদিকে, খড়গ্রাম ব্লকের পদমকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েত দ্বারকা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় একাধিক গ্রাম।

আরও পড়ুন: চারদিকে জল থইথই, খাওয়ার জল আনতে গেলে হতে হচ্ছে নাকাল, তারপর…

জানা গিয়েছে, টানা বর্ষণের কারণেই বীরভূম জেলার লাভপুরের কুয়ে নদীর জলস্তর নামতেই সেই জল এসে ঠেকেছে বড়ঞা ব্লকে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত সুন্দরপুরের এই সমস্ত গ্রাম বন্যার কবলে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। একদিকে প্রবল বর্ষণ অন্যদিকে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি ফলে এই বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা ।ইতিমধ্যেই প্রশাসনের আধিকারিকরা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গ্রামে পৌঁছেছেন ।

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বদলে যাবে বারুইপুর! যা ঘটতে চলেছে, শুনলে চমকে যাবেন
পাশাপাশি, খড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত পদমকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাদিপুর, সর্বমঙ্গলাপুর, ঝাঁঝরা সহ বিস্তীর্ণ গ্রাম  এখনও জলের তলায়। প্রশাসনের আধিকারিক থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। বন্যা দুর্গতদের মাইকিং করে নিচু এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । পাশাপাশি, গ্রামে ত্রাণের সামগ্রী পৌঁছানো হয়েছে । বড়ঞা থেকে খড়গ্রাম ব্লকে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতেই উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসনও। অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

কৌশিক অধিকারী

Suvendu Adhikari on flood situation: রাজ্যে বন্যার আশঙ্কা! সেনা এবং এনডিআরএফের সাহায্য নেওয়ার আবেদন বিরোধী দলনেতার

কলকাতা: রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এ নিয়ে এবার রাজ্যকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বেশ কিছু জেলার মানুষকে উদ্ধার করতে অবিলম্বে সেনা এবং এনডিআরএফ-এর সাহায্য নেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে আবেদন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেচ দফতর, পুলিশ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টকেও নিশানা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘গ্রাম বাংলার মানুষকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে না পুলিশ না কোনও প্রশাসন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

আরও পড়ুন: রোগীর পরিবারের থেকে ১ টাকা বেশি নেওয়ার শাস্তি! চাকরি গেল সরকারি হাসপাতালের কর্মীর

ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত রাজ্যের একাধিক এলাকা। এই পরিস্থিতির জন্য সেচ দপ্তরকে দায়ী করে শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘বর্ষাকাল আসার আগে শেচ দফতরের তরফে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও রকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাঁধ নির্মাণ থেকে গ্রামে গ্রামে জলমগ্ন পরিস্থিতি ঠেকাতে রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে কোনও অর্থ বরাদ্দও করেনি।’

আরও পড়ুন: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় উঠে এল অন্য সন্দীপের নাম! মঙ্গলবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান ইডির

২০১৩ এবং ২০১৫ সালের কথা উল্লেখ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানুষের প্রাণ এবং ঘরবাড়ি বাঁচাতে অবিলম্বে সেনা এবং এনডিআরএফ মোতায়েন করার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ‌ নিজের সমাজমাধ্যমে হুগলির খানাকুল এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে কিভাবে জনবসতি এলাকায় হু হু করে জল ঢুকছে সেই ভিডিও তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা।

West Bengal Flood Situation: ভেঙেছে একাধিক বাঁধ, দক্ষিণবঙ্গে কড়া নাড়ছে বন্যা! ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ

কলকাতা: বুধবার আরও ৩ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হল মাইথন এবং পাঞ্চে জলাধার থেকে। ক্রমশ বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা। সরকার ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

ডিভিসির জল ছাড়ার দরুণ এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলা থেকে ১২ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে ৩ হাজার, বীরভূম জেলার ২ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে ৩ হাজার, হাওড়া জেলা থেকে ৪ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। একাধিক নদীর বাঁধ ভেঙেছে। সেচ দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে অবিলম্বে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: সিকিম যাওয়ার পথে ঘোর দুর্যোগ! বন্ধ বাংলা-সিকিম ১০ নং জাতীয় সড়ক, কোন পথে যাবেন পর্যটকরা

সেই সঙ্গে সন্তানসম্ভবা মহিলাদের অবিলম্বে উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হুগলির আরামবাগ ও খানাকুল নিয়ে চিন্তিত নবান্ন। আজ সন্ধের মধ্যে হাওড়ার আমতা এলাকার একাধিক জায়গায় জল ঢুকে যাবে। ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম চলছে নবান্নের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে।

আরও পড়ুন: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় উঠে এল অন্য সন্দীপের নাম! মঙ্গলবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান ইডির

জল বাড়ছে হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়নপুর এলাকায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে আরও মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ চলছে। বাড়ানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মী পরিমাণ।

Rescue Mock Drill: হঠাৎ গ্যাসলিক করলে কী করবেন? দেখুন উদ্ধারকাজের মক ড্রিলের ছবি

অগ্নিসংযোগ বা ক্লোরিন গ্যাস লিকে প্রাথমিক পর্যায়ে কী করনীয় তা হাতে-কলমে শেখাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির হাওড়ায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এনডিআরএফ ও রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে কেমিক্যাল মক এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হল সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে।
অগ্নিসংযোগ বা ক্লোরিন গ্যাস লিকে প্রাথমিক পর্যায়ে কী করনীয় তা হাতে-কলমে শেখাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির হাওড়ায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এনডিআরএফ ও রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে কেমিক্যাল মক এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হল সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে।
গ্যাস ট্যাঙ্ক লিক করলে কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় তা মক ড্রিল করে দেখালেন এনডিআর‌এফ কর্মীরা। একইসঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কীভাবে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করতে হয় সেটাও দেখানো হয়।
গ্যাস ট্যাঙ্ক লিক করলে কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় তা মক ড্রিল করে দেখালেন এনডিআর‌এফ কর্মীরা। একইসঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কীভাবে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করতে হয় সেটাও দেখানো হয়।
কয়েকশো কারখানা এবং ওয়্যারহাউস রয়েছে সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। বহু রাসায়নিক কারখানা, গোডাউন রয়েছে। অতীতে এখানে অগ্নিকাণ্ডের মত দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা যাতে আর না ঘটে সেই কারণেই এমন শিবিরের ব্যবস্থা।
কয়েকশো কারখানা এবং ওয়্যারহাউস রয়েছে সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। বহু রাসায়নিক কারখানা, গোডাউন রয়েছে। অতীতে এখানে অগ্নিকাণ্ডের মত দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা যাতে আর না ঘটে সেই কারণেই এমন শিবিরের ব্যবস্থা।
এনডিআরএফ কেমিক্যাল মক এক্সেসাইজ শিবিরে হাজির হিলেন জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মালিক, কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
এনডিআরএফ কেমিক্যাল মক এক্সেসাইজ শিবিরে হাজির হিলেন জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মালিক, কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
এই প্রসঙ্গে এনডিআরএফ কমান্ডার শশী দিও এবং সন্তোষ ঠাকুর এই জরুরি অবস্থায় সাধারন মানুষের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত তা জানান। মূলত যাতে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সেই এদিকে লক্ষ্য রেখে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে এনডিআরএফ কমান্ডার শশী দিও এবং সন্তোষ ঠাকুর এই জরুরি অবস্থায় সাধারন মানুষের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত তা জানান। মূলত যাতে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সেই এদিকে লক্ষ্য রেখে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।

NDRF Training: ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে কীভাবে নিজেকে বাঁচাবেন? হাতে-কলমে শিখল দিঘার পড়ুয়ারা

দিঘা: আপতকালীন বিপর্যয়ে কী করতে হবে তা ছাত্রছাত্রীদের হাতে-কলমে শেখাল এনডিআরএফ। দিঘার নিমতলা হাইস্কুলে আয়োজিত হল এনডিআর‌এফ-এর সেই প্রশিক্ষণমূলক সচেতনতা শিবির।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা একটি উপকূলবর্তী জেলা। এই জেলায় বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে‌ এবার তারি প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হল ছাত্রছাত্রীদের জন্য। এনডিআর‌এফ-এর দ্বিতীয় ব্যাটলিয়ন বন্যা সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ড্রিলের মাধ্যমে একটি প্রশিক্ষণমূলক সচেতনতা শিবির আয়োজিত করেছে।

আর‌ও পড়ুন: রাস্তায় হাঁটু সমান জল! প্রতিবাদে মহেশতলায় এ কী করল এলাকাবাসী

বন্যায় ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে কীভাবে জরুরি চিকিৎসা দিতে হয় এবং বন্যার আগে কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখতে প্রস্তুতি নিতে হয় সে সম্পর্কেও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মক ড্রিলটিতে দেখান হয় কীভাবে সঠিক পদ্ধতিতে লাইফ জ্যাকেট পরতে হয়। কীভাবে সাঁতার কেটে ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে বাঁচাতে হয়। জলের নিচে সাঁতার কাটা এবং নিচে থাকা ব্যক্তিদের কীভাবে শনাক্ত করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসে উপদ্রুত এলাকা থেকে কীভাবে দ্রুত বেরিয়ে আসতে হয় এবং সাধারণ মানুষকে উদ্ধার কীভাবে করা যায় তা মক ড্রিলের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তুলে ধরে এনডিআর‌এফ।

দুর্যোগের সময় লোকেদের মনোবল হারান উচিত নয়। ভারী বৃষ্টির পর পর গ্রাম প্লাবিত হলে, বাড়ির বাইরের পড়ে থাকা বর্জ্য পদার্থ যেমন খালি প্লাস্টিকের বোতল, বয়াম, ফুটবল, নারকেল, বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ইম্প্রোভাইজড উপায়ে জলাবদ্ধ নিচু এলাকা থেকে নিরাপদে বেরিয়ে কীভাবে আসতে হবে, কোনওব্যক্তি জলে ডুবতে শুরু করলে বাঁশ ও দড়ির সাহায্যে ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকেও কীভাবে বাঁচানো যায় সেই সবকিছু হাতে-কলমে পড়ুয়াদের দেখানো হয়।

এনডিআর‌এফ-এর সহকারী কমান্ড্যান্ট জানান, ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও সচেতন করা প্রয়োজন। যা তাদের দুর্যোগ মোকাবিলায় অনেক সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি তারা অন্যদের বিপদ থেকে রক্ষার করতে পারবে। এই শিবিরে যোগদান করে ছাত্রছাত্রীরা রীতিমত খুশি। ছাত্রছাত্রীদের এই সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ শিবির বন্যা সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে নিজেদের ও পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

সৈকত শী

NDRF Training: হঠাৎ বিপদ হলে কীভাবে উদ্ধার? হাতে-কলমে শেখাল এনডিআরএফ

হুগলি: হঠাৎ বিপদে পড়লে করণীয় কি? বিপর্যয় মোকাবিলা দলের পক্ষ তা হাতে-কলমে শেখানো হল ছাত্র-ছাত্রীদের। অপৎকালীন সময়ে কি করা উচিত সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হল ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হল। এনডিআরএফ সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ন কলকাতার পক্ষ থেকে এই স্কুল নিরাপত্তা কর্মসূচি পালন করা হল পারুল রামকৃষ্ণ সারদা হাই স্কুলে।

মূলত স্কুলে আসা ছাত্রছাত্রীরা হঠাৎদুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, যেমন হাত-পা কেটে গেলে বা ভাঙলে কি করা উচিত তার প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। পাশাপাশি হঠাৎ বন্যা হলে, ঝড়ে কোন ক্ষতি হলে এবং নদির বাঁধ ভাঙলে নির্ভয় হয়ে কিভাবে তারা নিজেদের এবং নিজের পরিবারের লোকজনকে সুরক্ষিত রাখবেন এবং সেই বিপর্যয় কিভাবে মোকাবিলা করবে, সেই সমস্ত বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: বর্ষায় চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে আটিয়াবাড়ির ভাঙা সেতু

এই প্রশিক্ষণের গোটা দায়িত্ব ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই দিন। আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন স্কুলে এই স্কুল নিরাপত্তা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

রাহী হালদার

Nabanna On Cyclone: ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষকে সরানো হল নিরাপদ আশ্রয়ে! সারারাত কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি নবান্নের!

কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে তুমুল সতর্কতা। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। এমনটাই রিপোর্ট পৌঁছেছে নবান্নে।

পরিস্থিতি নিয়ে রাতভর কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে নবান্নে। সারারাত ব্যাপী পরিস্থিতির উপর নজরদারি করবে নবান্ন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর,কাকদ্বীপ,নামখানা, গোসাবা,থেকে বেশিরভাগ বাসিন্দাকে সরানো হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

রাত ৯ টা পর্যন্ত রাজ্যের ৯ জেলায় ১৪ টি এনডিআরএফ-এর দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।পাশাপাশি প্রয়োজন হলে আরও এনডিআরএফ টিম স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। নবান্ন থেকে প্রতিনিয়ত প্রস্তুতির উপর রাখা হয়েছে নজর।

কলকাতায় দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে ১টা টিম এনআরডিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।পাশাপাশি হুগলিতে ১, হাওড়াতে ১,দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ৩,উত্তর ২৪ পরগনাতে ২টি,পূর্ব মেদিনীপুরে ২ টি,পশ্চিম মেদিনীপুরে ২টি,মুর্শিদাবাদে ১টি,নদিয়াতে ১টি টিম রাখা হয়েছে রাজ্যের দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে।

পাশাপাশি বায়ুসেনার সঙ্গেও কথা বলেছে নবান্ন। এয়ার লিফটিং-এর প্রয়োজন হলে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে তাদের। ব্যারাকপুর ও কলাইকুন্দাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী অঞ্চলে এয়ার লিফটিং এর প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছে নবান্ন। সোমবার সকালে নবান্ন যেতে পারেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফেও রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গেও পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে দফায় দফায়।