ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কের মাঝেই প্রতিমা তৈরি করছেন মৃৎশিল্পীরা

Cyclone Dana Updates: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’! রাতের ঘুম উড়ছে মৃৎশিল্পীদের

ঝাড়গ্রাম: গ্রাস করেছে আশঙ্কা। ভাবলেই চলছে না হাত-পা। প্রকৃতির চোখ রাঙ্গানিকে কোনওমতেই উপেক্ষা করতে পারছে না মৃৎশিল্পীরা। সময় যত গড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা আরও শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে আসছে জনবসতির দিকে। আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই কালীপুজো। মৃৎশিল্পালয়গুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে চলছিল প্রতিমা তৈরির কাজ। এর মধ্যেই মৃৎশিল্পীদের মনে আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা।

সিংহভাগ মৃৎশিল্পালয়ে ত্রিপলের ছাউনির মধ্যেই চলে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমাতে চলছে মাটি লেপা এখনো বাকি রং এবং প্রতিমার সাজগোজ। এই অবস্থায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে দানার দাপটে বৃষ্টিপাত। ফলে প্রতিমা শুকনো হওয়ার যেমন একটা আশঙ্কা রয়েছে তার থেকেও বড় আশঙ্কা হচ্ছে দানার দাপট। দানার কারণে যেকোনও মুহূর্তে উড়ে যেতে পারে ত্রিপলের ছাউনি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে প্রতিমাগুলি। পুজো কমিটিরগুলির কাছ থেকে প্রতিমার অগ্রিম বরাদও নেওয়া হয়ে গেছে। এই অবস্থায় প্রতিমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে কি হবে। সেই আশঙ্কায় এখন মৃৎশিল্পীদের মনে।

আরও পড়ুন:  ঝাড়গ্রামের এই প্রত্যন্ত গ্রামে উপচে পড়ছে পর্যটকের ভিড়, কারণ জানলে অবাক হবেন

ঝাড়গ্রামশহরের নতুনডিহি এলাকায় রয়েছে জয় কালীর মৃৎশিল্পালয়। শিল্পী সঞ্জীব দাস বলেন, “এখানে যতগুলি প্রতিমা তৈরি হচ্ছে সমস্ত প্রতিমার বুকিং হয়ে গিয়েছি। কিছুদিন পরেই প্রতিমাগুলিকে ডেলিভারি দিতে হবে। আর গতকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রতিমা শুকনো হওয়ার যেমন একটা ভয় রয়েছে তার থেকে বেশি ভয় ত্রিপলের ছাউনি যদি উড়ে যায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তাহলে মুহূর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে সব প্রতিমা গুলি। কি করবকিছু খুঁজে পাচ্ছি না। ঘূর্ণিঝড়ের কথা শোনার পর থেকে রাতের ঘুম উড়ে গেছে”।

আরও পড়ুন:  পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে ঝাড়গ্রামের খোয়াব গাঁ, কী রয়েছে এই গ্রামে? দেখুন ছবিতে

ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে মৃৎশিল্পীদের পাশাপাশি চোখের ঘুম উড়ে গেছে কৃষিজীবি মানুষদের। বহু জায়গায় ধান জমিতে পেকে রয়েছে ধান, কোথাও রয়েছে ফসল। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষতির হওয়ার আশঙ্কায় সকলেরই মনে।

বুদ্ধদেব বেরা