উত্তর ২৪ পরগনা: টুনি লাইটের জেরে কদর কমেছে মাটির প্রদীপের, সমস্যায় মৃৎ শিল্পীরা। সামনেই দীপাবলি, যার হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আলোর উৎসবে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত সুন্দরবন এলাকার কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। তবে তাঁদের তৈরি মাটির প্রদীপের চাহিদায় কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে জানায় মৃৎশিল্পীরা। মাটির প্রদীপের জায়গা দখল করে নিয়েছে ডিজাইনার মাটির প্রদীপ, বৈদ্যুতিক মোমবাতি, এলইডি ও রাইস ল্যাম্প।
আরও পড়ুন: দিকে দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আতঙ্ক! উপরওয়ালার ভরসায় বারাসাতের বড় বড় কালীপুজো
এছাড়া সরষের তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় প্রদীপের চাহিদা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে ডিজাইনার প্রদীপে দেওয়া থাকে মোম। তাই দীপাবলির আলোক সজ্জায় সেদিকের ঝুঁকছেন মানুষ। কালীপুজোর আগে প্রদীপ বানানো ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময় মাটির হাঁড়ি, চায়ের কাপ, ফুলের টব তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন প্রান্তের দোকানদারেরা চাহিদা মতো অর্ডার দিয়ে যেতেন। কিন্তু সেখানেও থাবা বসিয়েছে প্লাস্টিক কন্টেনার, কাগজের চায়ের কাপ, প্লাস্টিকের ফুলের টব। এবার বাদ রইলো না মাটির প্রদীপও।
যদিও রংবেরঙের আকর্ষণীয় লাইট থাকলেও মাটির প্রদীপের আলাদা একটি কদর আছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসছেন মাটির প্রদীপ কিনতে। আলোর উৎসবে প্রদীপের ভরপুর আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। দীপাবলি কালী পুজোতে রংবেরঙের আলোতে সেজে ওঠে বাড়ি থেকে সড়ক। তবে রংবেরঙের লাইটের যতই চাহিদা থাকুক না কেন , মাটির প্রদীপ আজও নস্টালজিয়া।
জুলফিকার মোল্লা