কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবিলায় উপকূলীয় অঞ্চলে নামানো হল নৌ বাহিনীর বিশেষ দল। এছাড়া আকাশ পথে সমুদ্রে নজরদারি চালাবে উপকূল রক্ষী বাহিনী। সাইক্লোন চলে গেলেও, এই রাজ্যের নিউ দিঘা থেকে খেজুরি অবধি দীর্ঘ ৭১ কিলোমিটার সমুদ্রতট জুড়ে নৌ-বাহিনীর পাশাপাশি নজর রাখতে চলেছে ভারতীয় উপকূলীয় বাহিনী। হলদিয়া থেকে উপকূলীয় বাহিনীর জাহাজে নজর রাখা হচ্ছে। নৌ বাহিনীর এই বিশেষ দলটি এসেছে বিশাখাপত্তনম থেকে। মোট তিনটি টিম এসেছে।
এই দলের অন্যতম সদস্য জানিয়েছেন, দুটি রেসকিউ টিম ও একটি ডাইভিং টিম নিয়ে আসা হয়েছে। ঝড়ের আগেই সমুদ্রের পাড় থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। তার পরেও যদি কেউ সমুদ্রে তলিয়ে যান তাহলে এই বিশেষ ডাইভিং টিম উদ্ধার কাজে নেমে পড়বেন। আর যদি কোথাও মাটির বাড়ি বা পাকা বাড়ির নীচে কেউ চাপা পড়ে যান বা দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে নৌ-বাহিনীর এই বিশেষ দল কাজ করবে। গত কয়েকদিন ধরেই ডরনিয়ার বিমানে চেপে চক্কর কাটছে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। মাঝ সমুদ্রে থাকা পণ্যবাহী জাহাজ ও ভেসেল যা আছে তাদের উপকূলে ফেরানোর ব্যবস্থা করানো হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে মাইকিং করেছিল।
আরও পড়ুন: তখন ঠিক মাঝরাত, আছড়ে পড়ল দানা, কিন্তু অন্ধকার শুনশান দিঘার সৈকতে কে ওটা! শুনলে চমকে উঠবেন
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, নেভির দুটো ডাইভিং টিম, ৫ খানা ফ্লাড রিলিফ টিম ও বিশেষ নৌকা আনা হয়েছে। এই টিম থাকছে উড়িষ্যার উপকূলে। এছাড়া একটি ফ্লাড রিলিফ টিম বাংলা সীমান্তের কাছেই স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখা হয়েছে। এই সব দল গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা, আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা, রিলিফ মেটিরিয়াল পৌছে দেওয়ার কাজ করবে। এছাড়া নৌ বাহিনীর তরফ থেকে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তুত আছে।
এই নৌ বাহিনীর জাহাজ থেকে প্রয়োজনে এয়ারড্রপ করানোর ব্যবস্থা থাকছে। রাজ্য সরকার যখনই তাদের কাছে সাহায্য চাইবে ত্রাণ পাঠানো বা উদ্ধার কাজের জন্যে তখনই এই টিম ঝাঁপিয়ে পড়বে। এছাড়া চিকিৎসকদের একটি দল প্রস্তুত আছে। সাইক্লোনের পরেই তারা বিভিন্ন এলাকায় পৌছে যাবে।