পশ্চিম মেদিনীপুর: সামনেই কালীপুজো। কয়েকদিন পরে শক্তির দেবীর আরাধনায় মেতে উঠবেন আপামর বাঙালি। বাঙালি বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম দেবী কালিকার পুজো। তবে সেই পুজোতে যেন কার্যত হতাশ এই এলাকার মানুষজন। শুধু এলাকার মানুষ নয় ফাঁপরে পড়েছেন এলাকার মৃৎশিল্পীরা। একদিকে দানার প্রভাব অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে এখন প্রতিমা তৈরিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে শিল্পীদের।
মাত্র দুদিন পরেই শক্তির দেবীর আরাধনা। একাধিক অর্ডার পেয়েছিলেন রাজ্যের ঘাটাল মহকুমার একাধিক মৃৎশিল্পী। তবে যখনই প্রতিমা তৈরি শুরু করবেন তখনই ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব। একদিকে ঝড়ো হাওয়া অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টি। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে জেলায়। লাগাতার বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন ঘাটাল মহকুমার একাধিক এলাকা। স্বাভাবিকভাবে একদিকে যেমন মাটির প্রতিমা শুকোতে অসুবিধা হচ্ছে, তেমনই কিভাবে তৈরি করবেন এমন একটা বিপদসংকুল পরিবেশে তা খুঁজে পাচ্ছেন না শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরল থেকে ওজন কমাতে এক্সপার্ট রসুন, কিন্তু শুধু এইভাবে খেলেই ফল পাবেন
মৃন্ময়ী প্রতিমা তৈরি করে সারা বছরের রুটি রুজি করেন শিল্পীরা। শিল্পীদের কাছে একটা মরশুমে সামান্য লাভে সারা বছরের সংসার চলে। কিন্তু গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত ঘূর্ণিঝড় দানা এবং দানা প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি। স্বাভাবিকভাবে কীভাবে এই প্রতিমা তৈরি করবেন তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: মোটা মাইনে, খড়গপুরে চাকরির বিরাট সুযোগ! ৫ নভেম্বর আবেদনের শেষ দিন
কখনও আগুনের ফিল্ম দিয়ে শুকিয়ে আবার কখনও জলে ধুয়ে যাওয়া কাঠামোর উপর ফের মাটির প্রলেপ দিয়ে তৈরি করতে হচ্ছে প্রতিমা। তবে যে কষ্ট তারা করছেন আদৌ কি তাদের মুনাফা জুটবে? নাকি সব ধুইয়ে দেবে ফের বন্যা পরিস্থিতি? সেই প্রশ্ন মৃৎশিল্পীদের।
রঞ্জন চন্দ