হুগলি: ঘুর্নিঝড় দানার হানা কেটে গিয়েছে দিন দুয়েক আগে। তবে তার যে প্রভাব তা রেখে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে টানা ঝড়-বৃষ্টির জেরে হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার মাঠে ডুবে আছে জমির ধান। কোথাও কাঁচা ধান জলের তলায় তো কোথাও পাকা ধান ডুবে আছে জলে।
দিন করেক আগে ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে প্লাবিত হয়েছিল হুগলির আরামবাগের বহু এলাকা। নষ্ট হয়েছিল বিঘের পর বিঘে জমির ফলল। আবারও যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে চাষিরা সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে জেলার কৃষকরা। এর আগেও আলু, বাদাম সহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। এবার মাঠের ধানকে জলে ডুবতে দেখে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা।
এই বিষয়ে এলাকার কৃষকরা জানান, জমির ফসল চাষের উপর নির্ভর করে চলে তাঁদের সংসার। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ চাষী লোন করে চাষ করেন, এভাবে একের পর এক ক্ষতি মুখ থেকে তারা কিভাবে এখন উদ্ধার হবেন সেই ভাবনাতেই পড়েছেন সকলে। ক্ষতির মুখে পরে এক প্রকার ঘুম উড়েছে তাঁদের। এখন সরকার যাতে তাঁদের সাহায্য করেন, তাঁদের ঋণ মুকুব করেন সেই আসতেই রয়েছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ KKR News: কেকেআরের নতুন অধিনায়ক রিঙ্কু সিং! ৫ কারণে মহাচমক দেবে নাইটরা! জানুন বিস্তারিত
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের সময় থেকেই চাষীদের উদ্দেশে জানিয়েছিলেন সবাইকে কৃষি বীমা করে রাখার জন্য। এখন কৃষকদের কাছে শেষ আশা ভরসা হচ্ছে সেই কৃষি বীমাই।
রাহী হালদার