মা কালী 

Kali Puja 2024: অপূর্ব মা কালীর মাহাত্ম্য, এখানে এলে মন ভরে যায়, জেনে নিন কাহিনী

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার এই কালী পুজোর গল্প জানলে অবাক হবেন আপনারাও। সাধারণত স্বপ্নাদেশ পেয়ে কালী পুজো শুরু করার গল্প অনেকেই শুনেছেন। তবে পূর্ব বর্ধমানের এই কালীপুজো শুরু হয়েছিল একদম অন্য কারণে। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ ব্লকের ফলোহরি গ্রামের নন্দী বাড়ির কালী পুজো। স্থানীয় এলাকায় এই পুজোর ভাল সুনাম রয়েছে। দূর দূরান্ত থেকেও অনেকেই আসেন পুজো দেওয়ার জন্য। আজ থেকে প্রায় বেশ কয়েক যুগ আগে এই পুজো প্রথম শুরু করেছিলেন গুরুদাস নন্দী নামের এক ব্যক্তি।

তবে বর্তমানে গুরুদাস নন্দী না বেঁচে থাকলেও, তাঁর বংশধরেরা এখনও সেই পুজো করেন। গুরুদাস নন্দীর পরিবারের কথায়, একসময় গুরুদাস নন্দী কোনও এক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। ঘুরতে গিয়ে সেখানে তাঁর কলেরা রোগ হয়। সেইসময় তিনি মানসিক করেছিলেন, তার এই কলেরা রোগ ভাল হলে তিনি কালীপুজো করবেন। এবং পরবর্তীতে তাঁর কলেরা রোগ ভাল হলে তিনি প্রথম এই কালীপুজো শুরু করেছিলেন।

আরও পড়ুন- Rice Totke: গ্রহের দোষ দূর, অর্থের পথে যে বাধা রয়েছে তা সাফ করে দেয়ে নিমেষে, চালের টোটকায় সংসারে কামাল করে ফেলুন

এই প্রসঙ্গে নন্দী বাড়ির সদস্য অমল কুমার নন্দী জানিয়েছেন, “আমাদের বংশধর গুরুদাস নন্দী এই পুজো শুরু করেছিলেন। তিনি মায়ের কাছে মানসিক করেছিলেন যে রোগ থেকে মুক্তি পেলে মায়ের পুজো করবেন। সেই মতো রোগ ভালো হয়ে যাওয়ার পরে, তিনি পূর্বস্থলীর জাহান্নগর থেকে একটি মূর্তি কাঁধে করে নিয়ে এসেছিলেন। সেই থেকে শুরু হয় পুজো।”

ফলহারি গ্রামের এই কালীপুজোর বেশ কিছু বিশেষত্বও রয়েছে। মা কালীকে ভোগে দেওয়া হয় লুচি এবং নারকেল নাড়ু। এছাড়াও তার সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের সবজি ভোগ। বলি দেওয়া হয় আখ, কুমড়ো সহ আরও বেশ কিছু জিনিস। আগে এই পুজো পাট কাঠির ঘরে হলেও এখন তৈরি হয়েছে ঠাকুর দালান। সেই সময় এই ঠাকুর কাঁধে চাপিয়ে গ্রাম পরিক্রমা করে পুকুরে বিসর্জন করা হত। তবে এখন সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কমেনি পুজোর জৌলুস। আজও ধুমধাম সহকারে অনুষ্ঠিত হয় পূর্বস্থলীর ফলহারিণী গ্রামের কালীপুজো।

Banowarilal Chowdhary