আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : কালীপুজো, আলোর উৎসব। অন্ধকার কাটিয়ে তোলার দিন। দিওয়ালি, দিপাবলী সহ বিভিন্ন নামে এদিন উৎসবে মেতে ওঠেন গোটা দেশের মানুষ। কিন্তু এই আলোর উৎসব অনেক সময় অন্ধকার ডেকে আনে অবলা প্রাণীদের জীবনে। আনন্দ করতে গিয়ে বহু মানুষ অসাবধানী হয়ে উঠেন। যার ফল ভুগতে হয় অবলা প্রাণীদের। কখনও কখনও পথকুকুর, বিড়াল সহ বহু অবলা প্রাণীদের সামনে ফাটানো হয় আতশবাজি, পটকা যার ফলে আহত হয় তারা।
তাই প্রত্যেক বছরের মত ফের একবার পশুপ্রেমী সংগঠনগুলির আবেদন, সাবধান হওয়ার। মানুষের আনন্দ যাতে এই অবলা প্রাণীগুলির দুঃখের কারণ না হয়ে ওঠে, সেই আবেদন জানিয়েছেন তারা। তাই আলোর উৎসবে মেতে উঠার সময় একটু সাবধান হওয়ার অনুরোধ রয়েছে। আতশবাজি, পটকা যাতে এইসব অবলা প্রাণীদের সামনে ফাটানো না হয়, সেই আবেদন রয়েছে। একই সঙ্গে যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের দিকে আতশবাজি ছুড়ে দেওয়া না হয়, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে বলেছেন। অন্য কাউকে এমন করতে দেখলে তাদেরও নিষেধ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: যাত্রীতে ভরা বাস হঠাৎ ধাক্কা মারল ব্রিজে! মুহূর্তে শেষ ১০ জীবন! আশঙ্কাজনক আরও ৩০ জন, ভয়ঙ্কর ঘটনা
তবে তার মধ্যেও অনেক সময় বিক্ষিপ্ত ঘটনা সামনে আসে। আহত হয় এই সমস্ত অবলা প্রাণীরা। এমন কিছু দেখতে পেলে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, অল্প আঘাত লাগলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া উচিত। তাহলে এই সমস্ত অবলা প্রাণীগুলি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। নয়ত অল্প আঘাতই পরে তাদের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। আঘাত বেশি থাকলে, স্থানীয় এলাকার পশু চিকিৎসক বা পশুপ্রেমী সংগঠনগুলিকে খবর দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, মানুষের আনন্দ বা ক্ষোভের শিকার হয়ে অনেক সময় অবলা প্রাণীদের প্রাণ গিয়েছে। যার বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। বর্তমানে সমাজের বেশিরভাগ মানুষ এই বিষয়ে সচেতন হয়েছেন। তবে অনেকের মধ্যেই এখনও রয়ে গিয়েছে সেই অসাবধানী মনোভাব। যার ফল হয় এমন ধরনের বিক্ষিপ্ত নিষ্ঠুর ঘটনা। তাই সকলকে এই অবলা প্রাণীগুলির পাশে উৎসবের দিনে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছেন সকলে। তারা বলছেন, এমনটা করতে পারলে তবেই সুস্থ সমাজ গঠন সম্ভব।
নয়ন ঘোষ