ঝাড়গ্রাম : বাচ্চা দেখলেই ছুটে আসছে বাঁদর দিচ্ছে কামড়। এখনওপর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ জন বাচ্চাকে বাঁদরটি কামড় দিয়েছে । রান্না ঘরে ঢুকে রুটি বানানোর তাওয়া থেকে রুটি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বাঁদর। বাঁদরের তাণ্ডবে নাজেহাল হয়ে গ্রামবাসীরা একাধিকবার বনদফতরের দারস্থ হয়। অবশেষে মঙ্গলবার রাত্রে এলাকার তিনজন বাচ্চাকে পর পর বাঁদরের কামড় দেওয়ায় ক্ষুব্ধ ওঠে এলাকা। মঙ্গলবার রাত্রেই গ্রামবাসীরা দফতরের রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভে প্রদর্শন করে বাঁদরকে ধরার জন্য।
ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত লোধাশুলি গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার রাতে লোধাশুলি রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, গত একমাস ধরে বাঁদরটি কামড়াচ্ছে শিশুদের। এমনকি বাড়িতে ঢুকে খেয়ে নিচ্ছে খাবার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনজন শিশুকে পরপর কামড় দেয়। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে মানুষজন। এদিন রাতে লোধাশুলি রেঞ্জ অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান মানুষজন। বন দফতরের পক্ষ থেকে একটি শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২০০ বছরের প্রাচীন এই কালীপুজো! জানুন মায়ের পুজোর অজানা কাহিনি
লোধাশুলির রেঞ্জ অফিসার প্রসূন মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাঁদরটি অনেকজনকে কামড়েছে। আমরা বাঁদরটিকে ধরার চেষ্টা করছি। কিন্তু খুবই ছোট। ধরা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। খাঁচার সাহায্যে বাঁদরটিকে ধরার প্রক্রিয়া চলছে। খাঁচায় ধরা না পড়লে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাঁচাতে বন্দি করা যায়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এ ব্যাপারে। প্রয়োজনে ট্রাঙ্কুইলাইজ করা হবে”। পরে রেঞ্জ অফিসারের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। খাঁচা এনে তোড়জোড় শুরু হয়েছে বাঁদরটিকে ধরার জন্য। জানা গিয়েছে গত এক মাসে প্রায় ২০-২৫ জন শিশু জখম হয়েছে।
বুদ্ধদেব বেরা