Tag Archives: forest

Forest Survey: দেশের বৃহত্তম হিজল বন বাংলায়, সার্ভের পরই হবে সংরক্ষণ

মালদহ: শিঘ্রই হিজল বন নিয়ে সার্ভে করতে চলেছে বন বিভাগ। এই সার্ভেতে দেখা হবে হিজল গাছ ছাড়াও আরও কী ক উদ্ভিদ রয়েছে সেখানে। কী কী প্রাণী ওই জঙ্গলে বসবাস করে এই সমস্ত বিষয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে এই সার্ভে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মালদহ বন বিভাগের পক্ষ থেকে বোটানিক্যাল ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

এই সার্ভের মাধ্যমে সেখানে থাকা হিজল গাছগুলির বয়স সহ বিভিন্ন তথ্য’ও সংগ্রহ করা হবে। এই দুই সার্ভে করার পরই মালদহে অবস্থিত দেশের এই বৃহত্তম হিজল বন সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করা হবে। মালদহ জেলা বন দফতরের ডিএফও জিজু জেসফার জি বলেন, এই বছরেই হিজল বন নিয়ে সার্ভে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সার্ভে করার পর কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে সেই সমস্ত বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে।

আর‌ও পড়ুন: ছুটির আনন্দ বদলে গেল বিষাদে, বাড়িতে এসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু জওয়ানের

মালদহ জেলার হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতে অবস্থিত এই হিজল বন। একেবারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সিঙ্গাবাদ ও তিলাসন গ্রামের মাঝে অবস্থিত এই হিজল বন। বন দফতরের তথ্য অনুযায়ী এটি ভারতবর্ষের বৃহত্তম হিজল বন। বছরের অধিকাংশ সময় বিলের জলে ডুবে থাকে হিজল গাছ। ডিসেম্বর মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিলে জল থাকে না। সে সময়ই হিজল বনে ঘোরার উপযুক্ত সময়। প্রতিবছর শীতের মরশুমে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ ভিড় করেন এই হিজল বনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিজল ফরেষ্টকে ঘিরে স্থায়ী পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার। কিন্তু এতদিন কোন‌ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এবার দেশের বৃহত্তম এই হিজল বন সংরক্ষণ করতে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।

সংরক্ষণের পাশাপাশি আগামীতে কীভাবে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়েও পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বন বিভাগ। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হিজল ফরেস্ট প্রায় ২৫০ হেক্টর জমির উপর অবস্থিত। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হিজল গাছ কেটে নিচ্ছে চোরাচালানকারীরা। বন দফতরের পক্ষ থেকে তাই টহলদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিয়মিত এখানে বন কর্মীরা পাহাড়া দিচ্ছেন।

হরষিত সিংহ

Heavy Rain Impact: উত্তরে ভারী বৃষ্টির জেরে শহরমুখী শতাধিক জংলি হাতির দল

জলপাইগুড়ি: ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সমস্যার মুখে জলপাইগুড়ি শহর। বর্ষার শুরুতেই অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জঙ্গল ছেড়ে হাতির দল শহরমুখী হয়েছে! শতাধিক হাতি ক্রমশ শহরের দিকে এগিয়ে আসছে।

গত তিন-চার দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি সহ পাহাড়ে। যার জেরে কার্যত ফুঁসছে তিস্তা নদীর জল। আর এতেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে শহরমুখী হয়েছে প্রায় শতাধিক বুনো হাতির দল।

আর‌ও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে সাবধান! ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা হল না মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের

বৃহস্পতিবার রাত থেকেই চলছে অবিরাম বৃষ্টি।লাগাতার বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল রূপ নিচ্ছে। ধস নামছে পাহাড়জুড়ে। পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি, ডুয়ার্স সহ বিভিন্ন এলাকার নদী এবং পাহাড়ী ঝোরাগুলোতে বেড়েছে জলের স্রোত। আর এতেই মানুষের পাশপাশি বন্য প্রাণীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। এদিকে, শুক্রবার ভোর হতেই জলপাইগুড়ি শহর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল ঘেঁষা কালিয়াগঞ্জ গ্রামে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঢুকে পড়েছে শতাধিক বুনো হাতির দল।

শহরের দিকে বুনো হাতির দলের এগিয়ে আসার খবর পেয়ে নজরদারি শুরু করেছে বন বিভাগ। এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে গ্রামে ছড়িয়েছে হাতির আতঙ্ক। রীতিমতো সন্ত্রস্ত অবস্থা বাসিন্দাদের মধ্যে।

সুরজিৎ দে

Animal Attack: বৃদ্ধের পচা গলা, খুবলে খাওয়া দেহ উদ্ধার! সাতসকালে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা বক্সার জঙ্গলে

আলিপুরদুয়ার: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধ ব্যক্তির দেহ। পুলিশের অনুমান বন্য প্রাণীর আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধ ব্যক্তির। কালচিনি ব্লকের নিমতি এলাকায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এদিন দুপুর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

এদিন বনকর্মীরা টহলের সময় জঙ্গলের ভিতরে ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পান। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে এসে কালচিনি থানার পুলিশ এসে ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। ‌

আরও পড়ুন: YouTube-ভিডিও থেকে কত টাকা আয় হয়? ১ মিলিয়ন ভিউজ হলে কত রোজগার হয়? ৯৯% লোকজনই জানেন না

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম কালীচরণ মাহালী তিনি ভাটপাড়া চা বাগানের এ ডিভিশনের বাসিন্দা ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে নিখোঁজ ছিল ওই ব্যক্তি। তার বাড়ির থেকে যে ছবি ও পোশাকের বিবরণ দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে মিলেছে এই ব্যক্তির পোশাক।

পুলিশ সূত্রে খবর সম্ভবত বনজন্তুর আক্রমণে মৃত্যু হতে পারে ওই ব্যক্তির। যদিও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালচিনি থানার পুলিশ।
Annanya Dey

Horror: একবার গেলে আর ফেরে না কেউ, আজ পর্যন্ত নিখোঁজ অগণিত মানুষ! কী আছে এই জঙ্গলে?

বলা হয় পৃথিবীর সবথেকে ভয়ঙ্কর জঙ্গল। জঙ্গলটিতে আলো পড়লে ভয়ঙ্কর দেখায়। এর আশপাশে থাকা বাসিন্দাদের মুখে মুখে ভয়াবহতার গল্প। রাতে কেন, দিনেও সেখানে প্রবেশ করেন না কেউ।
বলা হয় পৃথিবীর সবথেকে ভয়ঙ্কর জঙ্গল। জঙ্গলটিতে আলো পড়লে ভয়ঙ্কর দেখায়। এর আশপাশে থাকা বাসিন্দাদের মুখে মুখে ভয়াবহতার গল্প। রাতে কেন, দিনেও সেখানে প্রবেশ করেন না কেউ।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সেই জঙ্গলের নাম ‘হোইয়া বাকিউ ফরেস্ট’। এটি অবস্থিত ইউরোপের দেশ রোমানিয়ার। কথিত আছে, এই জঙ্গলে যারা প্রবেশ করেন, তারা আর কখনও ফিরে আসেন না।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সেই জঙ্গলের নাম ‘হোইয়া বাকিউ ফরেস্ট’। এটি অবস্থিত ইউরোপের দেশ রোমানিয়ার। কথিত আছে, এই জঙ্গলে যারা প্রবেশ করেন, তারা আর কখনও ফিরে আসেন না।
ট্রানসেলভ্যানিয়া প্রান্তের ক্লুজ কাউন্টিতে রয়েছে হোইয়া বাকিউ ফরেস্ট। এই জঙ্গলে এমন সব ঘটনা ঘটে যে, একে ট্রানসেলভ্যানিয়ার বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বলা হয়।
ট্রানসেলভ্যানিয়া প্রান্তের ক্লুজ কাউন্টিতে রয়েছে হোইয়া বাকিউ ফরেস্ট। এই জঙ্গলে এমন সব ঘটনা ঘটে যে, একে ট্রানসেলভ্যানিয়ার বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বলা হয়।
এই জঙ্গলে এমনভাবে গাছ ও বৃক্ষের স্তর রয়েছে, যাতে আলো পড়লে অত্যন্ত ভয়ানক দেখায়। সূর্যের আলো থাকলেও সেখানকার ভয়ঙ্কর আবহাওয়া আদৌ কমে না।
এই জঙ্গলে এমনভাবে গাছ ও বৃক্ষের স্তর রয়েছে, যাতে আলো পড়লে অত্যন্ত ভয়ানক দেখায়। সূর্যের আলো থাকলেও সেখানকার ভয়ঙ্কর আবহাওয়া আদৌ কমে না।
এই জায়গাতে লোকজন ইউএফও থেকে ভূত-প্রেত সব কিছু নিয়েই গল্পকথা বলেন। জঙ্গলটি নিয়ে তখনই আলোচনা শুরু হয়, যখন মানুষ সেখানে গিয়ে হারিয়ে যেতে শুরু করে।
এই জায়গাতে লোকজন ইউএফও থেকে ভূত-প্রেত সব কিছু নিয়েই গল্পকথা বলেন। জঙ্গলটি নিয়ে তখনই আলোচনা শুরু হয়, যখন মানুষ সেখানে গিয়ে হারিয়ে যেতে শুরু করে।
এই জঙ্গলের কাছাকাছি যারা বাস করেন, তাদের পূর্বপুরুষরাও জঙ্গলটি নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলতেন। সবচেয়ে বেশি আলোচিত কাহিনিটি হল, এক মেষপালক তার ২০০টি ভেড়া নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে হারিয়ে যায়, আর কখনই ফেরেননি তিনি। ২০০টি ভেড়ার একটিও ফিরে আসেনি।
এই জঙ্গলের কাছাকাছি যারা বাস করেন, তাদের পূর্বপুরুষরাও জঙ্গলটি নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলতেন। সবচেয়ে বেশি আলোচিত কাহিনিটি হল, এক মেষপালক তার ২০০টি ভেড়া নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে হারিয়ে যায়, আর কখনই ফেরেননি তিনি। ২০০টি ভেড়ার একটিও ফিরে আসেনি।

French Ambassador: ডুয়ার্সের জঙ্গল দর্শনে ফরাসি রাষ্ট্রদূত, পরিদর্শন শেষে সন্তোষ না অসন্তোষ জানালেন?

জলপাইগুড়ি: এক সময় ভারত সেরার তালিকায় ছিল গরুমারা জাতীয় উদ্যান। এখন কেমন পরিস্থিতিতে রয়েছে সেই গরুমারা জঙ্গল, কেমনই বা রয়েছে এখানকার বন ও বুনোরা, বনদফতরের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্পর্কই বা কেমন? এই সমস্ত খতিয়ে দেখতেই ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত থিয়ারি ম্যাথিউ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি পরিদর্শন করলেন ছোট শহর জলপাইগুড়ি সংলগ্ন গরুমারা অভয়ারণ্য।

বিশেষ এই সফরে এসে সন্তোষ প্রকাশ করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত। আগামী দিনে তাঁদের দেশের তরফ থেকে গরুমারা বনাঞ্চলের উন্নয়নে কোনও সহযোগিতা করা যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে। এমনটাই খবর বন দফতরের সূত্রে। জানা গিয়েছে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি প্রথমে গরুমারা জঙ্গলের মেদলা নজর মিনারে যান। গরুমারার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মূর্তি ও জলঢাকা নদী দেখার পাশাপাশি সেখানে থাকা কুনকি হাতিদের পর্যবেক্ষণ ও তাদের সারাদিনের বিভিন্ন কাজকর্ম সম্পর্কে বন দফতরের আধিকারিক ও মাহুতদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর গরুমারার ধুপঝোড়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে এসে বন দফতরের আধিকারিকরা এই প্রতিনিধি দলটিকে কুনকি হাতির পিঠে চাপিয়ে জঙ্গলের আনাচে কানাচে ঘোরান।

আর‌ও পড়ুন: মে দিবসের দিন‌ই কর্মহীন ৮০০ শ্রমিক! বন্ধ হল চা বাগান

এখান থেকে ফিরে তাঁরা স্থানীয় আদিবাসীদের নৃত্য উপভোগ করেন। কথা বলেন জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত থিয়ারি ম্যাথিউ জানান, গরুমারা জঙ্গল ও এখানকার বন্যপ্রাণ দেখে তাঁরা যথেষ্ট আনন্দিত। উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি জানান, গরুমারা জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ দেখে এই প্রতিনিধি দলটি সন্তুষ্ট হয়েছে। আগামী দিনে গরুমারা উন্নয়নে সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস মিলেছে। ফ্রান্সের এই দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণী বিভাগের বনপাল ভাস্কর জেভি, গরুমারা ও জলপাইগুড়ি বনবিভাগের দুই ডিএফও দ্বিজপ্রতীম সেন, বিকাশ ভি, গরুমারা সাউথ রেঞ্জের রেঞ্জার সুদীপ দে সহ বনদফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা।

সুরজিৎ দে

Helipad Destroyed Youth Hope: ভিআইপিদের হেলিপ্যাড গড়ে তরুণদের চাকরির স্বপ্নে ‘ফুলস্টপ’

জলপাইগুড়ি: উঁচু শাল গাছের কোঠর থেকে আর উঁকি দেয় না ছটফটে চোখ। চোখে পড়ে না লাল ঠোঁট, উড়ন্ত সবুজের সমাহার। ডুয়ার্সের টিয়া বনে একসময় এভাবেই চোখে পড়ত টিয়া পাখির ঝাঁক। লাল ঠোঁট বিশিষ্ট সবুজ টিয়ায় ছেয়ে যাওয়া টিয়া বনের সৌন্দর্য থেকে তখন চোখ ফেরানো দায় হত। কিন্তু সেসব আজ অতীত। সেই টিয়া বনের ময়দান আজ ভিভিআইপি-দের কপ্টারের হ্যালিপ্যাডে পরিণত হয়েছে।

এই টিয়া বনে এখন খুব একটা দেখা মেলে না টিয়া পাখির। একদিকে উঁচু শাল গাছের কঠোরে উঁকি দিত লাল ঠোঁটের টিয়া পাখি, আর নিচে মাঠের এপার ওপার দৌড়ে নিজেকে শারীরিকভাবে সেনা বাহিনীর চাকরির জন্য তৈরি করার যুদ্ধে লেগে থাকত মাঠ সংলগ্ন জয় আশ্রম ১৯ নম্বর লাইন এলাকার মনীন্দ্র রায়, প্রকাশ ওঁরাও-দের মত যুবকেরা। তবে হঠাৎ যেন সব বদলে যায়। এই অঞ্চলের এক সময়ের ছোটখাটো জমিদার পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম কল্যাণ রায়ের কাছ থেকে জানা গেল, হঠাৎ-ই একদিন সব শাল গাছ কেটে ফেলা হল। খেলার মাঠ, লোহার নেট দিয়ে ঘিরে ফেলে তৈরি হল হেলিকপ্টার ওঠা নামার জন্য হেলিপ্যাড। ২০১৯ সালের ঘটনা। এতেই আশ্রয় হারাল টিয়া পাখির দল। এলাকা থেকে উঠে গেল খেলার মাঠ।

আর‌ও পড়ুন: শিংওয়ালা হাতি! কাজিরাঙা’কে ভালবেসে ইউরোপীয় পর্যটকের শরীরজুড়ে ইউনিকর্নের ট্যাটু

কাতর কন্ঠে কল্যাণ বাবু আরও জানান, সেই থেকে এই ২০২৪ পর্যন্ত বহু জায়গায় অনুরোধ করেও অন্যত্র একটি খেলার মাঠ তৈরি হয়নি। কেউ কথা রাখেনি। আগে স্থানীয় বহু ছেলেই এই মাঠে নিজেকে তৈরি করে বর্তমানে দেশের সেনা বাহিনীতে কাজ করছে। তবে আজ আর এই গ্রাম থেকে কেউ খেলায় বা প্রতিরক্ষা দফতরে কাজ পায় না। যে ময়দানে দৌড়ঝাঁপ করে এক সময় সেনাবাহিনী থেকে পুলিশের কর্মী হয়েছে স্থানীয় রাজবংশী এবং আদিবাসী যুবকেরা, আজ সেই মাঠ ভিআইপিদের হেলিপ্যাড হয়ে যেন সব স্বপ্নে দাড়ি টেনে দিয়েছে!

সুরজিৎ দে

Forest Fire: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কাশতোড় জঙ্গলে, আতঙ্কে এলাকাবাসী

পুরুলিয়া: জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গার জঙ্গলগুলিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে চলেছে প্রায়শয়‌ই। যদিও জঙ্গল বাঁচাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রয়েছে নজরদারির ব্যবস্থাও। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও না কোনওভাবে জঙ্গলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে চলেছে। এই দিনও ঘটে গেল আরও এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। রঘুনাথপুর-বাঁকুড়া রাস্তার পাশে কাশতোড়া জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়‌। ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রসঙ্গত , বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর – বাঁকুড়া রাস্তায় রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত কাশতোড়া জঙ্গলে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। ঘটনায় জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কাশতোড়া জঙ্গলে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো জঙ্গলে। আগুনে পুড়ে বহু গাছ নষ্ট হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে দমকল ও রঘুনাথপুর থানার পুলিশে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দমকলের বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আর‌ও পড়ুন: বরযাত্রী নয়, ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে ভোটের প্রচার করলেন প্রার্থী

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই জঙ্গলটি বিরাট আকারের হওয়ার কারণে খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। স্থানীয় মানুষদের বিষয়টি নজরে আসতেই খবর দেয় দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ‌

অগ্নিকান্ডের জেরে আশেপাশে এলাকার মানুষদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বর্তমানে অনেকটাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। যার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন এলাকার মানুষেরা। যদিও এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Wild Animals in Heatwave: জ্বলন্ত গরমে হাঁসফাঁস করছে বন্যপ্রাণীরাও! স্নান করানো, ফ্যান চালানো, বিশেষ বন্দোবস্ত টাইগার রেসকিউ সেন্টারে

ঝড়খালি: তাপপ্রবাহের কবলে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। মানুষের পাশাপাশি হাসফাঁস করছে বন্যপ্রাণ। শরীর ঠান্ডা রাখতে ঝড়খালি টাইগার রেসকিউ সেন্টারে দু’বেলা স্নান করানো হচ্ছে বাঘেদের। খাঁচার সামনে বসানো হয়েছে স্ট্যান্ড ফ্যান। দেওয়া হচ্ছে ওআরএস ও ভিটামিন সি ট্যাবলেট।

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ঘাম হয়ে বের হয়। এদের শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মানুষের শরীরে হাজারও সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন: সোমবারই আবহাওয়ায় বদল! উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রবেশ, বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে স্বস্তির বৃষ্টি

দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বুধবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। এ দিন এমনই সাবধানবাণী শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ মানুষের মতো বন্যপ্রাণীদের শরীরেও সমস্যা দেখা দেয়। ঝড়খালি টাইগার রেসকিউ সেন্টারে তাই জন্তুজানোয়ারের যত্ন নেওয়া হচ্ছে যতটা সম্ভব। গরমের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে ক্রমাগত।

জঙ্গলে ঘুরতে গেলে ভুলেও এই কাজ করবেন না! হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ

আপনার একটি সুখটানই হতে পারে জঙ্গলের বন্যপ্রাণীদের বড় বিপদের কারণ! কীভাবে? একটা সুখ টানেই জঙ্গলে হু হু করে ছড়িয়ে পড়তে পারে দাবানল। বিপদের সম্মুখীন হতে পারে বন্য প্রাণ। তাই সাবধান হন এখন থেকেই।

Forest Fire: দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল রাজ্য সড়কের দুই পাশের বন! ভয়ঙ্কর দৃশ্যে হতভম্ব সকলে

পশ্চিম মেদিনীপুর: সবে বঙ্গ থেকে বিদায় নিচ্ছে শীত। বসন্তের শুরুতে বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গলে শুকনো পাতার ছড়াছড়ি থাকে। প্রাকৃতিক নিয়মেই শাল জঙ্গল, বসন্তে শুকনো পাতায় ভরে থাকে। তবে প্রতিবছর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকে। কেউবা কারা মনের সুখে জঙ্গলে লাগিয়ে দেয় আগুন কিংবা অসাবধানতাবশত কোনও আগুন থেকে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় কিলোমিটারের পর কিলোমিটার শাল-সেগুনের জঙ্গল। তবে এই ঘটনার নিস্পত্তি কোথায়? জানে না কেউই।

আরও পড়ুন: জলের ট্যাঙ্কের উপর উঠতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু দুই শ্রমিকের, লোহার নড়বড়ে সিঁড়ি ডেকে আনল বিপদ

সবে বসন্তের শুরু। মঙ্গলবার সন্ধেয় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকল বুড়িশোলের জঙ্গল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভাদুতলা থেকে লালগড় যাওয়ার রাজ্য সড়কের দুই পাশে শাল জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গোটা রাস্তা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। সন্ধের পরে ঘটনাটি ঘটায় বিপদ সে অর্থে না হলেও পুড়ে গিয়েছে বেশ কয়েক মিটার ঘন অরণ্য। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে একাধিক প্রাণ। প্রাণ গিয়েছে একাধিক সবুজ গাছের। তবে এই অগ্নিকান্তের নেপথ্যে মূল ঘটনা কী? তার খোঁজ চালাচ্ছে বন বিভাগ। পাশাপাশি আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় বনবিভাগের পক্ষ থেকে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

প্রসঙ্গত, পাতা ঝরার এই মরশুমে বহু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে আনন্দ উদযাপনের কারণে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয়। কোথাও আবার ফেলে দেওয়া জ্বলন্ত সিগারেট থেকে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বিঘার পর বিঘা সবুজ গাছের জঙ্গল। বারংবার বন দফতরের তরফে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে এই বিষয়ে। তবুও বছরের পর বছর সেই একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এর ফলে দূষণ যেমন বাড়ছে তেমনই নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। যা নিয়ে চিন্তায় পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ সকলেই।

রঞ্জন চন্দ